মেহেদী হাসান ইরান, জেলা প্রতিনিধি (যশোর)
অভয়নগর উপজেলার ৮ নং সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলি গোপীনাথপুর মিলনী দাখিল মাদ্রাসার খেলার মাঠ কাটাতার দিয়ে ঘিরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় ঘটনাস্থল মাদ্রাসার মাঠে গেলে সত্যতা পাওয়াযায়। ২৫ বছর ধরে মাদ্রাসার ভোগদখলে থাকা খেলার মাঠ হঠৎ করে রোস্তম শেখের ছেলে নজরুল শেখ দখলে নেওয়ায় বিষয় ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসী দের। করোনা মহামারীর পূর্বে যেখানে শিক্ষার্থীরা খেলা করতো ঘুরতো আজ সেখানে কাতাতারের বেড়া। জানাগেছে রোস্তম শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম ১৯৯৮ সালে ৪৬৭৪ নং কবলা দলিল মূলে বর্তমান ৮৭ নং সিদ্ধিপাশা মৌজার ৩৯৯ নং দাগের জমি ক্রয় করে। যা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দখলে ছিলো। মূল মাদ্রাসার মাঠের এ জমি মাদ্রাসার না কেন প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসি। জমির বর্তমান মালিক নজরুল ইসলাম জানালেন মাদ্রাসার মাঠের জমিটায় গাছ লাগিয়ে সে দখলে আছে। তিনি আরো জানালেন যোগ্যতা সম্পূন্ন মাদ্রাসার কোন একটি পদে তার পরিবারের সদস্য কে নিয়োগ দিলে সে জমি মাদ্রাসার নামে দান করে দিবে তবে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ কথা রাখেনি। নাউলি মিলনী দাখিল মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা আঃ রশিদ হোসেন মাদ্রাসার জমি দখল বিষয়ে জানালেন মাদ্রাসার জমি বিলের মধ্য মাঠের যে জায়গা দখল করেছে তা তাদেরই।
মাদ্রাসার জমিদাতা মৃত মৌলভী জয়নাল আবেদিনের বড়ছেলে ফজলুলবারি খোকা (৬৫) জানালেন জমি দান করার সময় দাতা যে জমি মাদ্রাসায় দান করেছিল তা কয়েকটি দাগের হওয়ায় মাদ্রাসার জমির কিছুঅংশ অন্য জায়গাতে রয়েছে। মাদ্রসার ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি ফারুখ খান জানালেন মাদ্রাসার মজি কেন্দ্রিক বেশ ঝামেলা রয়েছে।তিনি আরো জানালেন জমির ঝামেলা নিয়ে সমাধানে কাজ করছেন তিনি।
স্থানীয় মেম্বর হাফিজুর রহমান জানালেন মাদ্রাসার সাম্প্রতিক কর্মী নিয়োগ কেন্দ্রিক জটিলতা কে কেন্দ্রকরে জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে।তবে মূল মালিক তার জমি দখলে নিয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানালেন মাদ্রাসার মাঠে জমি দখল সংক্রান্ত কোন বিষয়ে আমি অবগত নই। কেহ অভিযোগ করেনি তবে অভিযোগ করলে যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।