খুলনার রুপসায় একটি নারী চক্রের বিরুদ্ধে ভিজিএফ চালের কার্ড আত্মসাতের অভিযোগ

22

খুলনার রূপসায় সুদখোর নারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পূর্ব রূপসা বাগমারা এলাকার শাহাজান শেখের মেয়ে ভুক্তভোগী হতদরিদ্র নুরজাহান বেগম সুদখোর শাহিনুর আক্তার টুনটুনি এবং তার তিন বোনের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার স্বারক নং- ২২০১, তারিখ-২৯/৮/২০২১ইং।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, রূপসা উপজেলার ৩নং নৈহাটী ইউনিয়নের চর রূপসা (মাঝিপাড়া) গ্রামের শাহিনুর আক্তার টুনটুনি এর নিকট থেকে নুরজাহান বেগম তার ছেলের চিকিৎসার জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে ৩০ হাজার টাকা ধার হিসেবে নেয়। কিন্তু এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকায় তার এক লাখ টাকার উপরে সুদ দিতে হয়েছে। এই টাকায় প্রতি মাসে হাজারে ২’শত টাকা করে ৩০ হাজারে ৬ হাজার টাকা সুদ গুনতে হয়। হতদরিদ্র নুরজাহান বেগম দিনমজুরির কাজ করে দুই ছেলে নিয়ে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। করোনাকালীন সময়ে তার কাজ না থাকলেও প্রতি মাসে উক্ত টাকার সুদ গুনতে হচ্ছে। এমনকি এই সুদের টাকা সময়মত পরিশোধ করতে না পারলে শাহিনুর সহ তার তিন বোন সেহেরুন, লাখি ও পাখি ভুক্তভোগী নুরজাহানকে মারধর করে। এমনকি তার নামে ৩০ কেজি ভিজিএফ চালের কার্ড করে প্রায় ৬ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই সুদখোর টুনটুনি চাল উত্তোলন করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ বিষয়টি পত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে জানাজানি হলে উক্ত ভিজিএফ এর চালের কার্ড ফেরত পেয়েছে ওই ভুক্তভোগী নারী নুরজাহান। এ ঘটনার পর থেকে অসহায় নারীকে শাহিনুর আক্তার টুনটুনি ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। এই সুদ খোর শাহিনুর এর বিরূদ্ধে এলাকার কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। কারন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে তারা দিনের পর দিন তাদের সুদের এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে লাখ লাখ টাকা বনে গেছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, এছাড়াও অনেকে এই শাহিনুর এর সুদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে। যা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। এর আগে ২৮ আগষ্ট ওই সুদখোর টুনটুনি ও তার বোনদের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী নারী নুরজাহান বেগম আরও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এলাকার সাধারণ মানুষ এই সুদখোর চক্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন।