খুলনার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আস্থার ঠিকানা স্বপ্নপূরীর আজ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

35

ডেক্স রিপোর্ট।।

খুলনা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আস্থাস্থল স্বপ্নপূরী। সুবিধাবঞ্চিত শিশু, নারী ও নানা চড়াই উৎরাই পার হয়ে হাটি হাটি পায়ে এগিয়ে চলছে সংগঠনটি। এরই মধ্যে বর্নাঢ্য র‌্যালি ও কেক কাটা সহ নানা আয়োজনে আজ পালিত হবে ৩য় প্রতিষ্টা বার্ষিকি।
সংগঠনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ও একাধিক পরিবারের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে । বিশেষ করে স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা নারীদের কর্মসংস্থানে সহায়ক ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এসব পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, একসময় অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। সেই যন্ত্রণা থেকে উদ্ধার করেছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এম সাইফুল ইসলাম। তার সহযোগিতায় একটু একটু করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন তারা।
এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ছোট থেকে দেখেছি প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে মানুষের বেঁচে থাকার দৃশ্য। ছোটবেলায় কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি দুর্যোগে অসহায় মানুষের আর্তনাদ। তখন সংকল্প ছিল সমাজের অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করার।’
‘একটি সুন্দর আগামি গড়ার লক্ষে’ এ শ্লোগানে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্কুল করার মধ্য দিয়ে কাজ শুরু হয়। এরপরে স্বপ্নপূরী ডিজিটাল হাসপাতাল, নারীদের প্রশিক্ষণ সহ নেয়া হয় একাধিক উদ্যোগ।
মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়ালেখার যাবতীয় খরচ বহন ও বিভিন্ন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীকে ফি দিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন উৎসবে দরিদ্রদের মাঝে পোশাক বিতরণ, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের জন্য রক্তের ব্যবস্থা এবং অসহায় ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে সংগঠনটির সদস্যরা।
শিশুদের বিনোদনের জন্য খেলাধুলার সামগ্রীও বিতরণ করেছে সংগঠনটি। এ ছাড়া করোনাকালীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাসহ কয়েকজনের নিয়মিত চাঁদা প্রদান এবং সমাজের হৃদয়বান মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে চলেছে সংগঠনটি।
স্বপ্নপূরী উইমেন্স ফোরামের সভাপতি বনানী দাশ বলেন, “ আমরা এমন একটি সমাজ গড়বো যেখানে কোন প্রকার সুবিধা বঞ্চিত ও ছিন্নমুল মানুষ থাকবে না। একই সাথে তাদের সাথে থাকবে না কোন ধরনের শোষন বা বৈষম্য এবং পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ তাদের প্রতিভা ও সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ পাবে।”
প্রতিষ্ঠাতা এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজের স্বীকৃতি আশা করি না। মানবিক কাজের মধ্যে অন্যরকম শান্তি আছে। যখন কোনো অসহায়, দুস্থ মানুষকে সাহায্যের মাধ্যমে তার মুখে হাসি ফোটাতে পারি, তখন হৃদয়টা প্রশান্তিতে ভরে যায়। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।