অভয়নগরে পাগলের জমি নিয়ে পাগলামি, জমির আশায় সেলিনা ঘুরছে দ্বারে দ্বারে

49

মেহেদী হাসান ইরান (জেলা প্রতিনিধি যশোর)

অভয়নগরে সকলের পরিচিত প্যরালাইসিসে আক্রান্ত পাগল আসাদের পৈত্রিক জমি নিয়ে চলছে ব্যাপক পাগলা বাজী। অভিযোগ, নিরক্ষর আসাদের সব জমি লিখে নিয়েছে তার আপন দু-বোন,পরে জমি হাত বদল হয়েছে আরো কয়েক বার,প্রতিবারই হয়েছে মামলা। একমাত্র কন্যা জমি পেতে মরিয়া, সর্বশান্ত হয়ে পাগলী প্রায় সেলিনা ঘুরছে দারেদারে। ঘটনাটি ঘটেছে অভয়নগর উপজেলার ৬ নং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী গ্রামে। জানাগেছে, প্যরালাইসিসে আক্রান্ত পাগল আসাদ উপজেলার সিংগাড়ী গ্রামের মৃত আশরাফ শেখের ছেলে। ডাক্তারের রির্পোট ও চেয়ারম্যানের লিখিত সনদের মাধ্যমে জানা গেছে, আসাদ ৯০ এর দশকে ব্রেইন জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ২০০৫ সালের পরে এসে প্যরালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে শয্যাসায়ী হয়ে যায়। আসাদের এক মাত্র কন্য সেলিনা বেগম (৬৫) দাবি করেছেন, তার স্বামী হত দরিদ্র হওয়ার কারনে পিতা আসাদ ফুলতলা উপজেলার উত্তরড়িহিতে চলে যায়। পিতাকে ফেরত নিতে তখন কার সময়ে সেলিনা যশোরের বিজ্ঞ নির্বাহী আদালতে একটি মামলা করে মামলা নং পি-১৫৬৭/১০ ধারা ১০০।

সেলিনা আরো জানান, সুরাতুন্নেছার স্বামী মুজাফ্ফারকে আসাদ সাজিয়ে মৃত্যুর ৫ মাস পূর্বে গোপনে সুরাতুন্নেছা ও জাহানারা পাগল আসাদের সমস্ত জমি হেবা দলিল বুনিয়াদে লিখে নেয়। অভয়নগর রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল নং ৬৩৩ তারিখ ১০/০২/১১। মৃত্যু সনদ অনুযায়ী আসাদ শেখ মারা যায় ০৭/০৭/২০১১ তারিখে। সেলিনা বেগম গোপন দলিলের কথা জানতে পেরে ২০১৭ সালে ৬৩৩ নং হেবা দলিল রদ-রহিত করার জন্য অভয়নগর সহকারি জজ আদালত যশোরে একটি মামলা করে, মামলা নং দেওয়ানী ৪২/১৭ তারিখ ১৬/০৫/২০১৭, যে মামলা এখন চলমান রয়েছে। উক্ত জমি সুরাতুন্নেছা ও জাহানারা বেগমের লোকজন দখলে নিতে আসলে সেলিনা বাদি হয়ে যশোরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারার অভিযোগ এনে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করে, মামলা নং পি- ৯৮৯/২০ তারিখ ০৪/১২/২০। মামলার পুলিশ রির্পোট অনুযায়ী দেখা গেছে জমি সেলিনার দখলে রয়েছে। কাগজ পত্র অনুযায়ী দেখা গেছে আসাদের দুবোন সুরাতজান ও জাহানারা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি ও নালিশী জাল-জালিয়াতিকৃত জমি ৭০৭১/২০ ও ৬৫৫৭/২০ নং কবলা দলিলের মাধ্যমে সিংগাড়ী নিবাসী জগোন্নাথ,বলরাম,কৃঞ্চ, ও ধনির কাছে মোট জমির ৯২শতক বিক্রি করে দিয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে জহন্নাথ দিং জমি ক্রয় করে উক্ত জমি দীর্ঘ মেয়াদী মাছের ঘেরের জন্য লিস দেওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।