খুলনায় হামলা-ভাংচুর, সম্পত্তি দখলের চেষ্টা এবং হত্যার হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গৃহবধূ হাসিনা

57

ডেক্স রিপোর্ট।।
খুলনার রূপসা উপজেলার পল্লীতে প্রতিপক্ষের হামলা-ভাংচুর, সম্পত্তি দখলের চেষ্টা এবং হত্যার হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন গৃহবধূ হাসিনা বেগম। এ বিষয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে নিরুপায় হয়ে জীবনের ভয়ে তিনি এক প্রকার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বুধবার বেলা ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন অসহায় হাসিনা বেগম। তিনি উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের ইলাইপুর গ্রামের আবুল কালাম সরদারের স্ত্রী। তিনি একদিকে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ কর্তৃক চরম নিরাপত্তাহীনতা অপরদিকে, ক্রয়কৃত সম্পত্তি হারানোর আংশকায় রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ হাসিনা বেগম বলেন, ১৯৯৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি রূপসা উপজেলার তিলক মৌজায় ১২ শতক জমি কিনে তার ভাই মো. শহিদুল ইসলাম খান লিটনসহ বসবাস করছেন। জমির একটি অংশ তার মেয়ে আফসানা আক্তারকে হেবা করে দিয়েছেন। মেয়ে আফসানা জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রবাসে থাকার কারণে ওই সম্পত্তির দেখাশোনাও তিনি করেন। মেয়ের অংশে পাকা ঘর নির্মাণসহ গাছপালাও রোপন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, জমি ক্রয়ের পর থেকে দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর ধরে তারা সেখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু গত ১৪ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় তিলক গ্রামের মৃত খোরশেদ শেখের পুত্র সেলিম শেখ ও মাসুম শেখসহ সংঘবদ্ধ দল এসে তার জমির ওপর দিয়ে রাস্তা করার জন্য উক্ত জমির ঘেরা বেড়া ভাংগার চেষ্টা করে। এতে বাধা প্রদান করায় তারা তার ওপরও চড়াও হয়। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাওয়ার সময় বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তারা তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় তিনি মৃত খোরশেদ শেখের পুত্র মো. সেলিম শেখ ও মো. মাসুম শেখকে বিবাদী
করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে প্রতিপক্ষরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারী সকালে জোর পূর্বক তার বাড়িতে প্রবেশ করে ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে পূণরায় জমি দখলের চেষ্টা করে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মামলা তুলে নেওয়াসহ হামলা ও মামলার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এমনকি এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আমি গত ২২ ফেব্রুয়ারী খুলনার জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ার কারনে কেউ ন্যায় বিচার করছে না- উল্লেখ করে তিনি সু-বিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।