দৈনিক ইন্তেকাল প্রেস কার্ডের রহস্য

49

শনিবার (১৯ শনিবার) বিকেলে ছবিটি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্যসহ পোস্ট করেন। অনেকেই পোস্টের নিচে হাস্যরসাত্মক নানান মন্তব্য করেছেন। আবার অনেকে সমালোচনাও করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ‘কুয়াকাটা মাল্টিমিডিয়া’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারের জন্য কনটেন্টের একটি অংশ এ প্রেস কার্ড। শুটিং চলাকালে কেউ একজন কার্ডটির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা মাল্টিমিডিয়ার পরিচালক শুভ হোসাইন কবির বলেন, ‘বর্তমানে অনেক ভুঁইফোড় সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকের দেখা মেলে, যারা শিক্ষা ও যোগ্যতা ছাড়াই অন্যের নাম ভাঙিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা মিডিয়া ও যোগ্য সাংবাদিকদের। তাই এমন একটি চরিত্র তুলে ধরে সমাজের চোখ খুলে দিতে আমাদের এ আয়োজন। সমাজের সত্যিকারের সাংবাদিকদের সম্মান ও মর্যাদা বজায় রেখে কনটেন্টটি তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কনটেন্টে যিনি দৈনিক ইন্তেকাল পত্রিকার পরিচয় দিচ্ছেন তিনি সমাজের অনেক মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতেন কিন্তু একটি সময় তাকে আইনের আওতায় আসতে হয়। একই সঙ্গে অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়।’


এ ব্যাপারে ভাইরাল হওয়া কার্ডে প্রকাশিত ছবির ব্যক্তির ‘আবুল মিয়া’ যার প্রকৃত নাম সাদ্দাম মাল। তিনি বলেন, ‘আমরা মূল ধারার সাংবাদিকদের সমাজের আয়না হিসেবে দেখি। সত্যিকারের কলমযোদ্ধাদের সম্মান গল্পে সমুন্নত রেখেছি।’
সাদ্দাম আরও বলেন, ‘এ গল্পে আমি সমাজের হলুদ সাংবাদিকতা করা একজন আবুল মিয়া, যিনি সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে সবসময় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন। একটি সময় এ চরিত্রের লোককে সবাই চিনে ফেলে এবং আইনের হাতে সোপর্দ করে।’

তিনি বলেন, ‘কার্ডটা দেখে অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। আমাদের এই কনটেন্ট শিগগির রিলিজ হবে। পুরো কনটেন্টটি দেখলে আশা করি সবার ভুল ভেঙে যাবে।’