খুলনায় ঈদ বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তির নিশ্বাস

69
মোঃ আল আমিন খান – সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার 
খুলনায় মহামারী করোনায় ধাপ পারকরে এবার ঈদ বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা ও আগাম কেনাকাটা করতে দেখে ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। গেল দুই বছর রমযান মাস শুরুর পূর্ব মুহুর্ত থেকে মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবে স্বাস্থ্য পরিধি নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা মাথায় রেখে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধের আওতায় দেশের সকল বিভাগের ন্যায় খুলনাতেও সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট এবং শপিংমল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার কারণে ব্যবসায়ী ভাবে চরম সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যেসহ সকল শ্রমিকদের নিয়ে দুর্বিসহ জীবন পার করে ব্যাবসয়ীরা। তবে এবছর শবে বরাতের পর থেকে ক্রমন্বয়ে সকল মার্কেট শপিংমল গুলোতে নজরে পড়ার মতো ক্রেতা সমাগম দেখে খুলনার ব্যবসায়ী মালিকগণ স্বস্তির সঞ্চার পেয়ে আশা করতে পারছে এবছর সকল ধরণের ব্যবসা ভালো হবে এবং গত দুই বছরের ঘাড়তি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করেন খুলনা ব্যবসায়ী ফেডারেশনের কর্মকর্তাগণ। খুলনা কে,ডি,এ নিউ মার্কেট, শহীদ সরওয়ার্দী মার্কেট, খুলনা বিপনী বিতান, শপিং কমপ্লেক্স, নিক্সন মার্কেট, খাজা খানজাহান আলী মার্কেট, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট ও শীববাড়ীর মোড় থেকে সোনা ডাঙ্গা পর্যন্ত যতগুলো রেডিমেট শো-রুম রয়েছে। এদিকে আবার দৌলতপুর এলাকার মার্কেটসহ খুলনার সকল মার্কেট ও শপিংমল এমনকি বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক ছোটখাটো দোকানগুলিতে দেখা যায় সাধারণ ক্রেতাদের আনাগোনার চিত্র তবে শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্মচারিদের ব্যস্ততা বেড়েছে ক্রেতাদের নিকট পণ্য বিক্রিতে মশগুল প্রতিটা দোকানের বিক্রেতাগণ। পাশাপাশি পর্যাপ্ত মালামাল মজুদ করেছে মার্কেট শপিংমল ব্যবসায়ী মালিকরা। তবে শহরের যেসকল মার্কেটগুলোতে মহিলা ও বাচ্চাদের পোশাকের দোকনগুলোতে নজরে পড়ার মতন জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সেই অনুপাতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বেঁচাকেনা বাড়েনি পুরুষদের থান কাপড়ের দোকানগুলোতে। এতে করে অলস সময় পার করছে আখতার চেম্বার, হাজী-এ-মালেক চেম্বার ও অন্য সকল মার্কেটের থান কাপড়ের দোকান এবং পুরুষদের পিচ কাপড়ের দোকান ও পোষাক তৈরির দর্জির দোকানে কাজের চাপ না থাকাতে হতাশ পিচ কাপড় ব্যবসায়ীরা। তবে ফেন্সি বাহারের মালিক গফুর ব্যাপারীর তথ্য সূত্র মতে খুলনা সকল মার্কেট, শপিংমল ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে উচ্চ দামী কোনো পোশাকের বিক্রি একেবারেই নাই বলে ক্রেতাদের ভাষ্য মতে জানা গেছে। খুলনা শপিং কমপ্লেক্সের ক্রেতা মোঃ হাসান  বলেন, আমাদেরওতো ছেলেমেয়েদের চাহিদা মোতন ভালো কিছু কিনে দিতে মন চায় কিন্তু উপায় নাই। কারণ বর্তমান বাজারে দৈনন্দিন খেয়ে বেঁচে থাকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যে পরিমাণে বেড়েছে তাতে করে খাবো না পোশাক কিনবো। বছর ঘুরে আসে রমযানের ঈদ আর ছেলে মেয়েরা আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায় থাকে কখন ওদের ঈদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিবো। তবে এবছর দৈনন্দিন খাদ্য পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়ার কারণে অন্য বছর দুইটা করে পোশাক কিনে দিলেও এবছর একটা কিনে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাধারণ ক্রেতাগণ।