বটিয়াঘাটার মামুন হত্যার মাস্টারমাইন্ডরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

60

খুলনা বটিয়াঘাটা মামুন হাওলাদার হত্যার প্রায় ০৬ মাস অতিবাহিত হলেও মামলার এজাহার্ভুক্ত আসামিরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন নিহতের পরিবারের সদস্য সহ এলাকাবাসি। এতে বাদি বাবুল হাওলাদার ও তার পরিবার উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে বলে জানান। সবাই মনে করেছিল দুই এক মাসের মধ্যে খুনিরা গ্রেফতার হবে কিন্তু এত দিনেও খুনিরা গ্রেফতার না হওয়াতে স্থানীয় জনসাধারণ পুলিশ বাহিনীর প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। বাদী বাবুল হাওলাদার অতি দ্রুত খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও মামলাটি পিবিআই’র কাছে হস্তান্তরের আবেদন জানান। তবে ইতিমধ্যে সিআইডি পুলিশ ও বটিয়াঘাটা পুলিশ অজ্ঞাতনামা ০৫ জন আসামি ধরে আদালতে প্রেরণ করেছেন। যদিও হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া মূল আসামীরা অধিকাংশ এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং খুনের মোটিভ ও মূল রহস্য এখনও জানা যায়নি। বলতে গেলে হত্যাকাণ্ডের অংশ নেওয়া মূল অপরাধীদের এখন গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ। উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান এজাহারভুক্ত আসামি মূল বিষয় না তদন্তে ঘটনার সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা আসবে তারাই হচ্ছে অপরাধী। এখন পর্যন্ত আমাদের সিআইডি ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে এবং উক্ত ৩ জন আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে এবং থানা পুলিশ দুই জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে উক্ত মামলার প্রধান আসামি সজল প্রথম দিনে গ্রেফতার হয়েছিল তবে আসামি সজল ওয়ান ১৬৪ জবানবন্দি দেয়নি। মামলার মোটিভ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান এখনো মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। উক্ত মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী এখনো ধরা হয়নি এ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করব। এখন পর্যন্ত ছয়জন গ্রেফতার আছে এবং বাকি এজাহারভুক্ত আসামি রা বর্তমানে পলাতক আছে তাদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য গত ১৭-০৯-২০২১ তারিখ রাত (০৮) আট ঘটিকায় বটিয়াঘাটা থানাধীন শান্তি নগর (দারোগা ভিটা)সাকিনস্থ নুর ইসলাম মার্কেট সংলগ্ন বেনাপোল মংলা রেল লাইনের পাশে বাবুল হাওলাদের পুত্র মৃত মামুন হাওলাদার সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন।এজাহারে উল্লেখিত আসামী মিরাজ তালুকদার ও তার লোকজনের সাথে নিহত মামুন হাওলাদারের একটি মামলার বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ ছিল। উক্ত বিরধের জের ধরে এজাহারের উল্লেখিত আসামী সালাউদ্দিন ও আসামী সায়েম চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে বেনাপোল মংলা রেল লাইনের পাশে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে আসামী মিরাজ তালুকদার, মোঃ শাওন, মোঃ রিয়াজ,সিরাজ সরদার, পারভেজ ও ইমরান আলী রড, হাতুরি ও লোহার সুরকি দিয়ে এলোপাতারি ভাবে মেরে জখম করে হত্যা করে।