রুপসা সেতুতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়ার ভীর 

65
মোঃ আল আমিন খান – সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার 
রূপসা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে থাকা খানজাহান আলী (র.) (রূপসা) সেতুতে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। বাতাসের প্রচণ্ড গতিতে রূপসা নদীর ঢেউগুলো যখন দুই পাড়ে আছড়ে পড়ে, তখনকার দৃশ্য মন কাড়ছে দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে পুলিশের টহল দল। ঈদের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে রূপসা সেতুর দুই পাড়ে ছুটে আসছেন হাজারো মানুষ । সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে অসাধারণ মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করতে তৎপর হয়েছেন অনেকেই। রূপসার পাড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে নদীর স্নিগ্ধ বাতাসের ছোঁয়া আর স্বচ্ছ জলে নৌকায় ঘুরে বেরিয়ে সময় কাটাচ্ছেন কেউ কেউ।  বিকেলে রূপসা সেতুতে টোল আদায়কারী নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ রনি বলেন, রূপসা নদীর সৌন্দর্য দেখতে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন। ঈদ বিনোদনের অংশ হিসেবে নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখোর হয়ে উঠেছে রূপসা সেতু এলাকা। ঈদের তৃতীয় দিনেও প্রকৃতিপ্রেমীদের উপস্থিতি কমেনি। সেতু দিয়ে হেঁটে বিনোদন পিপাসুরা রূপসা নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। আগত দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পাশাপাশি রূপসা সেতুর টোল প্লাজার নিরাপত্তাকর্মীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন। খুলনাবাসীর একটি মিলন কেন্দ্র হচ্ছে এই রূপসা সেতু। সবার মুখে আনন্দের উচ্ছ্বাস। মানুষের সমাগম বাড়ায় সেতুর দুই পাড়ে বসেছে ভ্রাম্যমাণ বাহারি খাবারের দোকান। মেলার আমেজের মতোই হচ্ছে বেচা-কেনা। উল্লেখ্য, রূপসা সেতুকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা হয়। কেননা এই সেতু দিয়েই খুলনার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সংযোগ ঘটেছে। সেতুটিতে পথচারী ও অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য বিশেষ লেন রয়েছে। রাতে সেতুর ওপর থেকে খুলনা শহরকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়। উৎসবের দিনগুলোতে এই সেতুতে তরুণ-তরুণীরা সেতুতে ভিড় করেন ও আনন্দ করেন। এই সেতুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো দুই প্রান্তে দুটি করে মোট চারটি সিঁড়ি রয়েছে। এর সাহায্যে মূল সেতুতে উঠা যায়। যে কারণে কোনো উৎসব আয়োজন ছাড়াও প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী সেতুটি পরিদর্শন করতে আসেন।