খুলনায় বিআরটিসির বাস দিয়ে নগর পরিবহণ চালুর দাবি নিসচার

37

খুলনায় নগর পরিবহণ চালুর দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখা।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে  বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) খুলনা বিভাগীয় পরিচালক প্রকৌশলী  মো. মাসুদ আলমের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন নিসচার নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, দেশ স্বাধীনের পর ৬০টি বাস নিয়ে খুলনা শহরে নগর পরিবহণ বা টাউন সার্ভিস সেবা চালু হয়। ২০১৭ সালে ৫৫টি বাসই চলাচলের যোগ্যতা হারায়। এর পরের বছরই শহরে গণপরিবহণ সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০১৯ সালে খুলনা মোটর বাস মালিক সমিতির উদ্যোগে ৪টি গণপরিবহণ চালু হয়। কিন্তু ইজিবাইক, মাহেন্দ্রা ও সিএনজির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা প্রভাবশালীদের কাছে হার মেনে করোনার আগেই সেগুলো ফের বন্ধ হয়ে যায়। বিভাগীয় শহর হওয়া সত্ত্বেও এখানে গণপরিবহণ নেই। আর এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ, শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবীরা।

নগর পরিবহন না থাকার সুযোগে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও থ্রি হুইলারগুলো ইচ্ছেমত ভাড়ায় যাত্রী বহন করছে।

ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও সিএনজিতে যথেচ্ছ ভাড়া আদায়, দুর্ঘটনা, যানজট ও অসদাচরণে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ক্ষুদ্র এসব পরিবহনে ব্যস্ত নাগরিক জীবনে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করলেও নানান ভোগান্তিতে খুলনাবাসী। বিভাগীয় শহর খুলনায় জনবসতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গণপরিবহন সংকটও। শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্রব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের গণপরিবহন সংকট নিরসনে পুনরায় বিআরটিসি’র দ্বিতল বাস সার্ভিস চালুর দাবি নগরবাসীর।

সাধারণ মানুষের স্বার্থে অচিরেই সরকারি উদ্যোগে খুলনা শহরে পর্যাপ্ত সংখ্যক দুইতলা বিশিষ্ট বি.আর.টি.সি বাস চালু করার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ,নিসচা মহানগর শাখার সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট  শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ,নিসচার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন তালুকদার সোহাগ,সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মো.মনিরুল ইসলাম সাগর,কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. শামীম হোসেন ও আবু মুছা।

এসময় বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদ আলমের হাতে নিসচার খুলনা মহানগর শাখা কর্তৃক প্রকাশিত ’নিরাপদ যাত্রা’ স্মরণীকা তুলে দেওয়া হয়।