জ্বালানি তেলের রেকর্ড দাম বৃদ্ধি- সারাদেশে বিক্ষোভ

30

শুক্রবার রাত ১২টার পর পেট্রোল অক্টেন ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির খবর শুনেই ফরিদপুরের পাম্পগুলো বন্ধ করে দিয়েছে পাম্প মালিকরা। এতে পাম্পে জালানি কিনতে আসা পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছে। শহরের টেপাখোলা পুরাতন স্ট্যান্ড, গোয়ালচামট, কোমরপুর ও রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে আবস্থিত সবক’টি পাম্পের প্রবেশ দ্বারে পাথর ও টায়ার লাগিয়ে পাম্প কর্মচারীরা সটকে পড়ে। ফলে শহরের পরিবহনগুলো পাম্পগুলোতে জ্বালানি নিতে এসে বিভিন্ন এলাকার পাম্পগুলোতে ঘুরতে দেখা গেছে। তবে শহরের জুবাইদা পাম্পে শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের জন্য এক লিটার করে পেট্রোল দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রাইভেট কার, বাস-ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহনে কোনো জ্বালানি এখান থেকে দেয়া হয় নাই। ফলে পেট্রোল কিনতে আসা পরিবহনগুলোর মালিক ও শ্রমিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

ফেনীতে রাত ১টার পর নতুন দামে বিক্রি

ফেনীতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির খবরে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি বন্ধ করে দেয় পাম্পগুলো। রাতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী বাইপাসসহ জেলা ও উপজেলার পরিবহন মালিক ও চালকরা তেল কিনতে না পেরে আশাহত হয়েছে। কোথাও বাকবিতণ্ডা বা কোথাও হালকা বিক্ষোভ হয়েছে।

কিছু পাম্প নতুন দাম সমন্বয় করে তেল বিক্রি করলেও রাতভর বন্ধ ছিল বেশকিছু ফিলিং স্টেশন। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে পেট্রোল ও অকটেন দাম বাড়ছে গুঞ্জনে পেট্রোল পাম্পগুলোতে ভিড় করতে থাকে মোটরসাইকেল আরোহীরা। মোটরসাইকেল আরোহীদের চাপ দেখে তেল বিক্রি বন্ধ করে ফিলিং স্টেশনের মালিকরা। রাত প্রায় ১২টার দিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে নতুন দাম ঘোষণা করে সরকার। এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫% বেড়ে হয়ে যায় প্রতি লিটার ১১৪ টাকা। পেট্রোলের দাম ৫১.১৬% বেড়ে প্রতি লিটারের দাম হয় ১৩০ টাকা। আর অকটেনের দাম বেড়েছে ৫১.৬৮%, প্রতি লিটার কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৩৫ টাকা।  শহর ও মহাসড়ক ঘুরে রাত ১২টায় দেখা যায়, পাম্প মালিকরা রাত ১২টার আগে তেল বিক্রি করতে রাজি হয়নি। তারা রাত ১২টার পর নতুন নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করতে আগ্রহী। এতে অনেক ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেল আরোহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি চালকদের সঙ্গে ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীদের বাক-বিতণ্ডা হয়েছে।  শহরের জেল রোডের আলহাজ আবদুল কুদ্দুস ফিলিং স্টেশনে রাত ১০টার পর পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করে ম্যানেজার কাউন্টার ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। এ সময় শতশত মোটরসাইকেল আরোহী তেল নিতে না পেরে ফিরে যায়। একই অবস্থা ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহসড়কের মহিপাল হাজী নজির আহম্মদ ফিলিং স্টেশন, লালপোল স্টার লাইন ফিলিং স্টেশন, মহিপাল ফিলিং স্টেশন, মুহুরী ফিলিং স্টেশন, ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাঁচগাছিয়ার প্রগতি ফিলিং স্টেশনসহ আশ-পাশের সকল পাম্পে।  শহরের পেট্রবাংলার বাসিন্দা মোটরসাইকেল আরোহী নজির আহম্মদ রতন বলেন, শুক্রবার বিকাল থেকে রিজার্ভ তেলে বাইক চালাচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে পাম্পে তেল নিতে গেলে তিনি তেল নিতে পারনেনি। পরে আরও ৪টি পাম্প ঘুরে রাত ১টার পর নতুন দামে তেল কিনতে পেরেছেন।

বগুড়ায় টার্মিনালগুলো বাসশূন্য

প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে: তেলের দাম বৃদ্ধির খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসের চাকা বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকাল থেকে অনেকটা বাসশূন্য হয়ে যায় বগুড়ার টার্মিনালগুলো। এতে বিপাকে পড়ে যায় শত শত যাত্রী। সিএনজি গ্যাসচালিত কিছু বাস বগুড়া থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে গেছে। সেগুলোতে আবার অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়গুলো নিয়ে বাস, মিনিবাস এবং ট্রাক পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ সারা দিন ফোন রিসিভ করেননি।   এদিকে বগুড়ার ঠনঠনিয়া এবং চারমাথা বাসস্ট্যান্ডগুলোতে সরজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার যাত্রীরা বাস সংকটে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বের হয়ে তারা বগুড়ায় আটকা পড়েছে। কথা হয় জয়পুরহাটের সোলায়মান শেখ, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সুরুজ মিয়া, ধুনটের জয়নাল, ঢাকার একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সুলতানা রাজিয়ার সঙ্গে। তারা জানায়, তেলের দাম বৃদ্ধির খবর তাদের জানা ছিল। এ জন্য বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে সেটাও তারা ভাবেননি। জরুরি প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকালে বের হয়ে গাড়ির আশায় বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। দুই একটি বাস ছেড়ে গেছে, সেগুলোতে বেশি ভাড়ায় যেতে বাধ্য হয়েছেন। বেলা বারোটার দিকে বগুড়া ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় মাত্র ৬/৭টি বাস দাঁড়িয়ে আছে। সেগুলো গ্যাসচালিত। পেট্রোলচালিত একটি বাসও টার্মিনালে পাওয়া যায়নি। কাউন্টারগুলোর বেশির ভাগ বন্ধ ছিল। দুই একটি কাউন্টারে লোকজন থাকলেও তারা মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চান নি। তারা শুধু বলেছেন- মালিক পক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত তারা পাননি। মালিক পক্ষ থেকে তাদের যে ভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সে ভাবেই তারা কাজ করছেন। কখন বাস চলাচল শুরু করবে তারা কেউ বলতে পানেননি। অথচ এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৫০টি বাস ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার কথা। অন্যান্য দিনগুলোতে দুপুরের মধ্যে এমন সংখ্যক বাস ছেড়ে যেতো। এমন পরিস্থিতি ট্রাকগুলোর ক্ষেত্রেও। রাস্তাগুলোতে শনিবার ট্রাকের দেখাও খুব বেশি পাওয়া যায়নি। মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রেও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন অনেকেই।

খুলনায় জনতার হট্টগোল

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এটি কার্যকর হয়। এদিকে শুক্রবার রাত ১২টার পর জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কথা শুনে উৎসুক ক্রেতাদের ভিড় হট্টগোল এড়াতে খুলনার সকল ব্যক্তি মালিকানাধীন পাম্পগুলো বন্ধ করে দেয় পাম্প মালিকেরা। শুধুমাত্র কেসিসি পরিচালিত মেসার্স কেসিসি পেট্রোলিয়াম খোলা থাকায় রাত ১০টা ৩০ থেকে পাম্পে দীর্ঘ সিরিয়াল, যানজট হট্টগোল শুরু হয়। রাত ১১টা ৩০ মিনিটে জ্বালানি তেল নিতে আসা জনতার ভিড় আরও বাড়তে থাকে। তাদেরকে তেল দিতে গিয়ে পাম্প কর্মচারীরা হিমশিম খায়। পাম্পের সামনে তেল কিনতে আসা জনতার চিৎকার চেঁচামেচি ও হট্টগোল হয়। ভুক্তভোগীরা জানান,  গত শুক্রবার  দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। রাত ১০টার দিকে দাম বাড়ানোর খবর শুনেই আগের দামে তেল কিনতে খুলনার ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় করেন বাইকারসহ অন্যান্য গাড়ির চালকরা। রাত ১১টার দিকে শহরের ও শহরতলীর ফিলিং স্টেশনগুলোতে তেল কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বাইক নিয়ে হাজার হাজার তরুণ এক ফিলিং স্টেশন থেকে অন্য ফিলিং স্টেশনে ঘুরেছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত তেল পাননি অনেকেই। ওই সময় নগরের পাওয়ার হাউজ মোড়ের খুলনা সিটি করপোরেশন ফিলিং স্টেশনে তেল কিনতে আসা বাইকার মামুন আলী বলেন, তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এজন্য আগের দামে তেল কিনে গাড়ির ট্যাংক ফুল করে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এসে দেখি দীর্ঘ লাইন। ফিলিং স্টেশনে কেউ নেই।   গল্লামারী ফিলিং স্টেশনে তিন শতাধিক  মোটরবাইকের লাইন। তেল নিতে চলে হট্টগোল।  এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। এদিকে ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, হঠাৎ মোটরসাইকেল আরোহীদের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। এ কারণে সাময়িক সময়ের জন্য ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।

বেতাগীতে বন্ধ তেলের দোকান

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বরগুনার বেতাগীতে বেশির ভাগ তেলের দোকান বন্ধ দেখা গেছে। অধিকাংশ মোটরসাইকেল চালকরা বন্ধ করে দিয়েছেন গাড়ি চলাচল। অন্যান্য জেলা বা মহানগরের বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বেতাগী-বরগুনা ও বেতাগী-বরিশাল রুটে চলছে বাস। শনিবার সকাল থেকে বেতাগী বাস টার্মিনাল, পৌর শহরের কয়েকটি স্টেশন ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে স্টেশনে বাস, মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের ভিড় থাকলেও গতকাল সকাল থেকে স্টেশনগুলো অনেকটাই ফাঁকা। বন্ধ দেখা গেছে, জ্বালানি তেলের দোকান।  মোটরসাইকেল চালকরা জানান, তেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত দামে তেল কিনে গাড়ি চালালে বাড়াতে হয় ভাড়া। এতে যাত্রী পাওয়া যায় না।  তেলের দাম বাড়ায় বেতাগী-বরগুনা রুটে বাস ভাড়া না বাড়লেও আগামীকাল থেকে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টারে থাকা কন্ডাক্টর।   বেতাগী বাসস্ট্যান্ডের জ্বালানি তেল দোকানদার মো. রুবেল মানবজমিনকে বলেন ‘হঠাৎ তেলের দাম বাড়ায় কিনছে না অনেক গাড়িচালকরা। কয়েকজন কিনতে আসলেও অতিরিক্ত দামে নিতে চান না। অনেক দোকান বন্ধ থাকলেও আমারটা খোলা আছে।’

গাজীপুরে বেড়েছে ভাড়া

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে: অকটেনসহ জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর গাজীপুরের কোনো কোনো পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। তবে অনেক পাম্পেই মজুত ও বিক্রি স্বাভাবিক রয়েছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন রোডের বাস ভাড়া বেড়ে গেছে। জেলা শহরের হোসেন অ্যান্ড সন্স নামের পেট্রোল পাম্পে সকাল থেকেই নেই অকটেন। মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি জ্বালানি সংকটের কারণে ক্ষুদ্ধ হচ্ছেন লোকজন। অবশ্য পাম্পের লোকজন বলছেন, গত রাতে অতিরিক্ত পরিমাণের জ্বালানি বিক্রি হওয়ায় তাদের মজুত শেষ হয়ে গেছে। সরবরাহ পেলে আগামীকাল বিকালে তাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ময়মনসিংহ থেকে আসা কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন গতকালও যেখানে ময়মনসিংহ থেকে গাজীপুর চৌরাস্তায় আসতে পারতেন মাত্র ১০০ টাকায়, সেখানে আজ আসতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। জেলার অভ্যন্তরীণ পরিবহনেরও একই অবস্থা। যাত্রীরা বলছেন, শনিবার ও যেখানে ২০ টাকায় চলাফেরা করতেন সেখানে পরদিন রোববার প্রায় দ্বিগুণ টাকা গুনতে হচ্ছে ভাড়া হিসাবে। ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের চালকরা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এখন তাদের পণ্য পরিবহনের ভাড়াও বাড়িয়ে নিতে হবে, এছাড়া কোনো উপায় নেই।

রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের দুর্ভোগ

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: সরকারের সিদ্ধান্তনুসারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সকাল থেকে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ জেলার সবকয়টি অভ্যন্তরীণ সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মালিক সমিতির নেতারা বিস্তারিত খোলাসা করে না বললেও মালিক-চালকদের ব্যক্তিগত ইচ্ছার ওপর দায় বর্তিয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের কথা প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাঙ্গামাটির সর্বত্র তেলের পাম্পগুলো বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্টরা। এতে পরদিন তেল সংগ্রহ করতে পারেনি যাত্রীবাহী গাড়িগুলোর চালকরা। ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে কার্যকর না করে তেলের দাম বৃদ্ধির আকস্মিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রাঙ্গামাটি শহরে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলে আগত পর্যটকসহ স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষজন।  এদিকে গ্যাসচালিত গণপরিবহন সড়কে চলাচল করলেও যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সঙ্গে বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। সকালে অনেকেই পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। রাঙ্গামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, ‘হুট করে তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়ায় আমরা বেকায়দায় পড়েছি। এ জন্য প্রাথমিকভাবে গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঙ্গামাটি শহরে সিএনজিসহ দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকবে।  অপরদিকে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মোটর মালিক সমিতির নেতা ছৈয়দ কোম্পানী জানিয়েছেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে গাড়ি বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। অনেক মালিক তাদের লোকসানের আতঙ্কে বাস চালাচ্ছেন না, আবার অনেকেই আগের দিন তেল কিনতে পারেনি, আজ বর্ধিত মূল্যে তেল কিনে পূর্বের ভাড়ায় গন্তব্যে গেলে লোকসানের শিকার হবেন তাই তারা গাড়ি চালাচ্ছেন না। এটা সম্পূর্ণই তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় করছে। এদিকে শুক্রবার রাতে তেলের নতুন দাম কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবগুলো ফিলিং স্টেশনে তেল বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। ক্রেতাদের অভিযোগ, তেল মজুদ রেখে গতকাল সকাল থেকে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করছে পাম্পগুলো।