অভয়নগরে ভিপি জমিতে মার্কেট তৈরি, সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি,থানায় অভিযোগ

89

মেহেদী হাসান ইরান (জেলা প্রতিনিধি যশোর)

অভয়নগর উপজেলার ৬নংবাঘুটিয়া ইউনিয়নের চাকই মরিচা বাজার সংলগ্ন সরকারি ডিসিআর ভূক্ত জমিতে মার্কেট তৈরিকরে কোটিটাকা বিক্রয় করে নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। এদিকে মার্কেট দেখভালের দায়িক্তে থাকা সৌমিত্র রায়ের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করায় ভুক্তভোগী সৌমিত্র রায় যশোরের অভয়নগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে মাঠে নামলে  বেশকিছু হতবাক করার মত তথ্য পাওয়া যায়। জানাগেছে গণপ্রজাতরী বাংলাদেশ সরকারের উপজেলা ভূমি অফিস অভয়নগর  যশোর। স্মারক নং- ৩১.৪০.৪১০৪.৫০৮.৩২.০০২.২০-৪০
তারিখঃ ২৪.০১.২১ : ডিপি ৩৩- এ এন / ৮৪ নম্বর নথিভূক্ত ইজারাকৃত জমিতে সেমিপাকা ঘর নির্মাণের অনুমতি প্রদান,সুরা জেলা প্রশাসক, (রাজস্ব)যশোর এর কার্যালয়ের অর্পিত সম্পত্তি সেল শাখার স্মারক নম্বর ০৫.৪৪.৪১০০.০১৮.০৬.০০২.২০২০.২৭ তারিখ ০৬.০১.২১ উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জনাব স্বপন কুমার রায় অভয়নগর, যশোর এর আবেদনের প্রেক্ষিতে নিজ খরচে সেমিপাকা ঘর / আবাসিক ঘর ও আধাপাকা ঘর (মেঝে পাকা, দেয়াল পাকা টিনের ছাদ তৈরি করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।এমতাবস্থায়, লীজ গ্রহিতাকে লীজের শর্ত সমূহ প্রতিপালনসহ নিজ খরচে ইজারাকৃত জমিতে সেমিপাকা ঘর / আবাসিক ঘর ও আধাপাকা ঘর (মেঝে পাকা, দেয়াল পাকা, টিনের ছাদ নির্মাণের জন্য বলা হলো।
অনুমতি পত্রে আরো উল্লেখ রয়েছে ডিপি সহকারী, উপজেলা ভূমি অফিস, অভয়নগর, যশোর। (তাকে লীজমানি আদায় পূর্বক ডি. সি. আর প্রদান নিশ্চিত করণের জন্য বলা হলো)। এবং  ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ভাটপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, অভয়নগর, যশোর। (তাকে লীজ প্রদানকৃত সম্পত্তির তদারকির জন্য বলা হলো)। অত্র অনুমোদনের কপিতে স্বাক্ষর করেছেন কে.এম. রফিকুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি)অভয়নগর, যশোর। উক্ত অনুমতি  পেয়ে মার্কেটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে সেটা এখন প্রকাশ্য। অনুসন্ধানে জানাগেছে অভয়নগরের বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভবানিপুর মৌজার ৬১নং খতিয়ানের ৩৯,৪২,৪৩ নং আর এস দাগের ৭০ শতক জমি তার মধ্য ১ শতক আবাসিক ও ৬৯ শতক জমি বানিজ্যিক  জে এল নং ২৬  বাংলা ১৪২৮ সানের খাজনা বাবদ ১১০০ নং বইয়ের ০৫৪৯৯৬ নং রশিদে ১৫,২৫০ টাকা ডিসিআর মূল্যে জমি পেয়েছেন কোদলা গ্রামের মৃত নিরাপদ রায়ের ছেলে স্বপন কুমার রায়। বাংলা ১৪২৮ সালের ডিসিআর ও সরকারি অনুমতি নিয়ে মার্কেট করছেন বলে জানাগেছে। উক্ত মার্কেটের দোকান বরাদ্ধের নামে কোটি টাকা বানিজ্যের বিষয় এখন আলোচনার মূখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। সরেজমিন  এলাকাল একাধিক দোকান দার ও স্থানীয় কেহই জমি বিক্রয় বা হস্তান্তরের বিষয়ে কোন গ্রহনযোগ্য তথ্য দিতে পারেনি। তবে চাদার বিষয়ে অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে গত ইং ২৩/০৯/২০২২ তারিখ বিকাল আনুঃ ০৪:৫২ ঘটিকার সময় চাকই-মরিচা ভবানীপুর বাজারে কিছুলোক এসে  আমাকে না পাইয়া মোবাইলে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলে যে, তুমিকি সৌমিত্র হ্যা বললে বলে অবৈধভাবে সরকারী জায়গায় ঘর বানাইয়া টাকা ইনকাম করিবা তা কি করে হয়। আমি তখন তাকে বলি যে, আমি বৈধ ভাবে সমূদয় বিধি মানিয়া জমি নিয়া সেখানে ঘর বানাইতেছি। তখন কথিত সাংবাদিক নামধারি ০২ নং বিবাদী আমাকে বলে যে, সে একজন সাংবাদিক তাকে বুঝিয়ে লাভ নাই, সাক্ষাতে সে বিস্তারিত বলিবে। কিন্তু মোবাইরে দুপুরের খাবার খেতে চায়। আমি তখন আমাদের বাজারের সেক্রেটারী মাসুদ ভাই ও মোড়ল সিরাজুল ইসলামকে কল দিয়া বিবাদীদেরকে হোটেলে খাওয়াইতে বলিলে তাহারা বিবাদীদেরকে হোটেলে আপ্যায়ন করে। পরবর্তীতে বিবাদীরা কিছু টাকাও নিয়া যায়। এরপর হইতে ০২ নং অর্থ্যাত সাংবাদিক সাজ্জাত হোসেন তুহিন আমাকে মোবাইলে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। সর্ব শেষ গত ইং-২৪/০৯/২০২২ তারিখ সকাল ০৯:২২ ঘটিকার সময় ০২ নং বিবাদী আমার নামে একটি নিউজ করিবে তাহার ড্রাফট হোয়াটস এ্যাপে পাঠায়। সে আমাকে সেই নিউজে একজন ভূমি দস্যু হিসাবে আখ্যায়িত করিয়াছে।  অভিযোগ থেকে অরো জানাযায় একই দিন সকাল ০৯:২৩ ঘটিকার সময় ০২ নং বিবাদী আমাকে কল করিয়া বলে যে, তাকে আমি চিনিনা তার কলমের জোর আমার জানা নাই, যদি আমি ঘর বানাইতে চাই তবে তাদেরকে নগদ ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দিতে হইবে বলিয়া জানায়। এবিষয়ে সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন চাদা চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ্য মরিচা ভবানি পুর চাকই বাজার জামে মসজিদের ১২ বছর ধরে দায়িত্বে থাকা ইমাম মাওঃ হাফিজুর রহমান ও  নড়াইলের সাংবাদ সাজ্জাত হোসেন তুহিনের নামে ১০ লক্ষটাকার চাদা দাবির অভিযোগ অভয়নগর থানায় হয়েছে,এবিষয়ে ভাটপাগা ক্যাম্পের এ এস আই মোকলেছুর রহমান অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন