অভয়নগর পায়রা ভূমি অফিসে ফসিয়ারের অনিয়ম চরমে, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন

113

ডেক্স রিপোর্ট।

যশোর অভয়নগরের পায়রা ইউনিয়ন ভূমি অফিস এখন নানা অনিয়মের সূতিকাগার। সেই অনিয়মের মূল হোতা অফিস সহায়ক ফসিয়ার। নিজেই নায়েবের ভূমিকা পালন করেন। খাজনা দিতে গেলে অতিরিক্ত টাকা আগে ফসিয়ার রহমানকে দিতে হয়। না হলে খাজনা দেওয়া বন্ধ। তথ্যমতে, পায়রা ভূমি অফিসে ফসিয়ার আগত সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়। এছাড়া তিনি মিউটেশনের কাজ করে থাকে। প্রতিটি মিউটিশনে ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে এই অফিস সহকারী। মো. আল আমিন খাঁন, পিতা-মতিউর রহমান ৩ অক্টোবার মিউটেশনের বিষয় তথ্য নিতে যায় পায়রা ভূমি অফিসে। যাওয়া মাত্রই অফিস সহকারী ফসিয়ার মিউটিশন বাবদ ৫ হাজার টাকা দাবি করেন তাঁর কাছে। যেখানে সরকারের নির্ধারিত ফি ১,১৭৫/= টাকা। নায়েব রমজান আলী এই ভূমি অফিসের বড় কর্তা। তিনিও ফসিয়ারের পক্ষে সাফাই গাইলেন। রমজান আলী দাবি করেন, ফসিয়ারের ভূল হয়ে গেছে । তিনি বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে দফারফার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী রহমান জানান, মূলত নায়েব রমজান আলী মন্ডল সকল অবৈধ আর্থিক লেন দেন করে থাকেন ফসিয়ারের মাধ্যম দিয়ে।

অভয়নগর উপজেলা ‍ভূমি অফিসের এসি ল্যান্ড থান্দার কামরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে শ্বোকজ করব, পরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিসি স্যারকে জানাব।

কথা হয় অভিযুক্ত ফসিয়ার রহমানের সাথে। তিনি বলেন, আমার ভূল হয়ে গেছে, প্রথমবারের মত আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দেন।

শুধু ফসিয়ার রহমানের পায়রা ভূমি অফিস নয়, অভয়নগর উপজেলায় হট লিষ্টে আছে আরও কয়েকটি ভূমি অফিস । যেখানে অতিরিক্ত টাকা বা ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না। পরবর্তী অনুসন্ধানীতে সেই সকল ভূমি অফিসের চিত্র তুলে ধরা হবে। (চলবে)।