ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৫ লাখ টাকার রিপিয়ারিং কাজে শুভংকের ফাঁকি

565

ডেক্স রিপোর্ট।।

খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ দিন চরম বেহালদশার মধ্যে দিয়ে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম চলে আসছিল। দেশের অন্যতম নিউজ পোর্টাল সি আই এনটিভি২৪ এ অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রচার হলে হাসপাতালের সার্বিক চিত্র ফুটে উঠে। সেখানে নানা নোংড়া ও স্যাতঁসেঁতে পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। এ প্রতিবেদন প্রচারের পর থেকে কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে রিপিয়ারিং করতে নজর দেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ৪৫ লাখ টাকার বরাদ্দ দেন হাসপাতালের রিপিয়ারিং করার কাজে। তবে ফাটল জায়গায় সিমেন্ট থেরাপী দিয়ে কাজ শেষ করছে। অন্যদিকে টাইলস ও দরজার কাঠের ফ্রেম নিম্ন মানের । কাঠের ফ্রেম ও দরজা অসারি কাঠ দিয়ে তৈরি। এ বিষয়টি স্থানীয়রা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাজের বেশির ভাগ সময় কোন ইঞ্জিনিয়ার বা প্রকৌশলী থাকে না স্পটে। ফলে সাধারন মিস্ত্রিরা মনগড়া মাফিক কাজ করে আসছে। এছাড়া হাসপাতাল প্রধান জেসমিন আরাকেও দেখা যায় না কাজের স্থলে। একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন রকম রং চং ও সিমেন্ট থেরাপী দিয়ে ৪৫ লাখ টাকার বড় অংকের কাজ সামান্য টাকার মধ্যে দিয়ে কড়ে পাড়ি দিতে যাচ্ছে ।

উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ জেসমিন আরা বলেন, কাজের কোন গাফিলতি আমার চোখে ধরা পড়েনি, আমি প্রতিদিন কাজের তদারকি করি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলীকে এ বিষয় তাঁর মন্তব্য জানার জন্য কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

দীর্ঘ দিন পর উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের পরিবেশ উন্নত হবে এটি এলাকাবাসির দাবি। তবে উন্নয়ন হোক দীর্ঘ সময়ের। যাতে কয়েকদিন পর আবারও সিমেন্ট বালু খসে না পড়ে। সেদিকে খেয়াল রাখার আহবান জানান সচেতন মহল। তবে হাসপাতালের বর্তমান রিপিয়ারিং কাজের পরিস্থিতি এত নিম্ন মানের যা কর্তৃপক্ষের নজরে এখনও আসেনি বলে বিষয়টি রহস্যজনক। পরবর্তীতে প্রতিবেদনে বিস্তারিত আসছে…