ডুমুরিয়ার বাকার কলেজের প্রিন্সিপাল হালিমের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

424

আবু হামজা বাঁধন।

খুলনার ডুমুরিয়ার ড.এস কে বাকার কলেজের প্রিন্সিপাল বিএম হালিম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ‍উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে। তারপরেও বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানা যায়।

তথ্যমতে, ফারহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চর্তুথ শ্রেনীর কর্মচারি নিয়োগে সরাসরি ডোনেশনের নামে ঘুষ চাওয়ার ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বাকার কলেজের প্রিন্সিপাল হালিম বিশ্বাসের। সরাসরি এস কে বাকারের নাম উঠে এসেছে ডোনেশন কেলেংকারীতে। এত কিছুর পরেও বহুল তবিয়তে হালিম বিশ্বাস কাজ করে যাচ্ছে। তাকে কলেজ বা স্কুল থেকে কোন কারণ দর্শানো নোটিশ বা বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়নি। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠে এসেছে খোদ কলেজ ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ড. এস কে বাকার এই ডোনেশন কেলেংকারীর সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বিষয়টি নিয়ে কোন প্রতিবাদ না করায় সর্বমহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

এদিকে নিয়োগে অনিয়ম থাকার কারণে ডুমুরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান নিয়োগের সার্বিক বিষয় স্থগিত করে রেখেছেন। তবে ড. এস কে বাকারের নেতৃত্বে একটি মহল গোপনে তদবির করছে যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়াটির স্থগিত আদেশ উঠানো যায়। সাম্পতিক ডুমুরিয়ার ইউএনও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়োগের বিষয় যাচাই বাছাই করার জন্য ।

 বাকার কলেজের প্রিন্সিপাল হালিম এর সাথে বিষয়টি তাঁর মন্তব্য জানার চেষ্টা করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে কলেজের সভাপতি হরিদাস মন্ডলকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

মুঠোফোনে কথা হয় এস কে বাকারের সাথে । তাকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তেজিত স্বরে কথা বলে ফোন রেখে দেন।

 একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায়, ডোনেশন কেলেংকারী সহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হালিম বিশ্বাস ও প্রতিষ্ঠাতা এস কে বাকারের বিরুদ্ধে। এর আগেও এস কে বাকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা যায়। তবে চাকরি বিধি বর্হিভূত কাজ করার দায়ে হালিম বিশ্বাসকে আইনী জটিলতায় পড়তে হতে পারে বলে বিজ্ঞ জনেরা মনে করছেন।

        (আগামী প্রতিবেদনে বিস্তারিত আসছে…)