ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চার সপ্তাহেও সুরাহার উদ্যোগ নেই

27
স্টাফ রিপোর্টার।
চার দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের টানা ৪ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন সুরাহা হয়নি।  মঙ্গলবার টানা ২৮দিনের মত সারা দেশের মত খুলনায়ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করেছেন তারা। খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্নি বন্ধ রেখে হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ ছাড়া ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, এমনিতে ম্যাটস এর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সারাদেশে অসংখ্য শুন্যপদ থাকা সত্তেও অজ্ঞাত কারনে গত ১২ বছর যাবত এই বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট বেকার জীবন যাপন করছে। তার মধ্যে হটাৎ করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ গত ১৩ ফেব্রæয়ারী এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে (স্মারক নং-বারচিল/১৬/২০২৩/১৬৯) মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্সের নতুন কারিকুলাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। উক্ত কারিকুলামে আমাদের বাস্তবিক প্রশিক্ষণ ইন্টার্নশিপসহ চিকিৎসা বিভাগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে জাতীয় জীবনে একজন দক্ষ মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে গড়ে ওঠা থেকে আমাদের বঞ্চিত হতে হবে। এ কারণে আমরা সে সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়ে সমাবেশ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবির ব্যাপারে কেউ কোন গুরুত্ব দেননি।
পরবর্তীতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৪ মার্চ সারাদেশে ক্লাস বর্জন করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয় এবং ২২ মে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়। ওইদিন অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি তাদের একটি দাবিও মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। তার ধারাবাহিকতায় তারা এই লাগাতার কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। চলমান অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি তারা ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলন, জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।
এদিকে, চার দফা দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- চলমান ইন্টার্নশীপ বহাল রেখে কোর্স কারিকুলাম সংশোধন, এলাইড হেলথ বোর্ড বাতিল করে ”মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ” নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের গৃহীত পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা চালু করা।
এ ব্যাপারে খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সবিজুর রহমান বলেন, ম্যাটস শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। কিন্তু তাদের দাবিগুলো জাতীয় পর্যায়ের এব্যাপারে আমাদের কিছু করণীয় নেই। আমি স্মারকলিপিটি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি।