খুলনায় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধানে মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

283
মোঃ আল আমিন খান, খুলনা ব্যুরো   
খুলনায় সম্প্রতি কিশোর ও বখাটে যুবকদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। মাদক বহন ও সেবন, ছিনতাই, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি,মারামারি, এমনকি খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে বখাটে কিশোর ও যুবকরা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। এ অবস্থায় খুলনায় কিশোর ও যুবক গ্যাংয়ের সন্ধানে মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে বখাটে যুবকদের তিনটি গ্যাংয়ের সন্ধান পেয়েছেন তারা। তবে এর আগে বিভিন্ন অপকর্মে সম্পৃক্ত অন্য তিনটি কিশোর গ্যাং এখন নিষ্ফ্ক্রিয়। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, তারা অনুসন্ধান চালিয়ে তিনটি গ্যাংয়ের সন্ধান পেয়েছেন। এর মধ্যে ফুলতলা উপজেলায় একটি বখাটে গ্যাং রয়েছে। ওই গ্যাংয়ের সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নতুন রাস্তা মোড় এলাকায় একটি গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তারা লোকজনের কাছ থেকে টাকা ও অন্য মালপত্র ছিনতাই এবং ইজিবাইক লুটের কাজে সম্পৃক্ত। রূপসাঘাট এলাকায় আরেকটি গ্যাং রয়েছে, যারা নিজেরা ইয়াবা সেবন ও বিক্রি করে থাকে। তবে এ তিনটি গ্যাংয়ের কোনো নাম নেই। গ্যাং সদস্যদের নাম সংগ্রহসহ তাদের ব্যাপারে আরও অনুসন্ধান চালাচ্ছে র‌্যাব। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশ বলছে, তাদের কাছে গ্যাং বা বখাটে পার্টির কোনো তথ্য নেই। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এডিসি শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, গ্যাং ও গ্রুপের বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন। তবে নগরীতে এখন এ ধরনের কোনো গ্রুপ নেই বলে দাবি করেন তিনি। অনুসন্ধান চালিয়ে তিনটি কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পায় র‌্যাব। সেগুলো হচ্ছে- ডেঞ্জার বয়েজ, গোল্ডেন বয়েজ ও টিপসি গ্যাং। এ গ্যাংগুলো নগরীর বয়রা, পালপাড়া, খুলনা পাবলিক কলেজ, মডেল স্কুল, শ্মশানঘাট, পিএমজি স্কুল, আফজালের মোড় প্রভৃতি এলাকায় সক্রিয় ছিল। প্রতিটি গ্যাংয়ের সদস্য ছিল ১৫-২০ জন করে। তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে। গ্যাংয়ের সদস্যরা সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। স্থানীয় কিছু অছাত্র বখাটে কিশোরও এসব গ্যাংয়ের সদস্য ছিল। গ্রুপের কোনো সদস্যের সঙ্গে কারও ঝগড়া হলে অন্যরা গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ত। গ্যাংয়ের সদস্যদের অনেকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, হুমকি-ধমকি দেওয়া, মারধর করা, মাদক সেবন প্রভৃতি অভিযোগ ছিল। তবে গত ছয় মাসে এই গ্যাংগুলোর কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয় লোকজন। এ ব্যাপারে র‌্যাব-৬-এর উপ-অধিনায়ক মেজর শামীম সরকার জানান, ওই তিনটি গ্যাংয়ের বেশিরভাগ সদস্যকে আটক হয়েছে। এর পর আর তাদের কোনো তৎপরতা নেই।