শেরপুর জেলায় রেলযোগাযোগ প্রাণের দাবি

151
শেরপুর জেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পূর্বে ১৮২৯ – ২০১৫ পর্যন্ত এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ছিল। শেরপুর জেলার আয়তন ১,৩৬৪.৬৭ বর্গকিলোমিটার। শেরপুর জেলা পূর্বে জামালপুর জেলার একটি মহকুমা ছিল। ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী এটিকে জেলায় উন্নীত করা হয়। শেরপুর শহর, দেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ১৯৮ কিলোমিটার (১২৩.০৩ মাইল) উত্তরে অবস্থিত। শেরপুর জেলায় ৩টি নির্বাচনী এলাকার (শেরপুর-১, শেরপুর-২ ও শেরপুর-৩) অধীন। ৫ টি উপজেলা নিয়ে শেরপুর জেলা গঠিত। উপজেলা গুলো হলোঃ ঝিনাইগাতি, নকলা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর সদর এবং শ্রীবরদী। শেরপুর জেলায় ৫২ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ৪৫৮ টি মৌজা, ৬৯৫ টি গ্রাম,  ৪টি পৌরসভা, ৩৬ টি ওয়ার্ড এবং ৯৯ টি মহল্লা নিয়ে গঠিত।
সি আই এন টিভি২৪ এর বিশেষ প্রতিনিধি দলের নেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শেরপুর জেলার উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সমস্যার দাবি তুলে ধরেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র জনাব গোলাম মোঃ কিবরিয়া, শেরপুর সদর উপজেলার বলাইরচর ইউ-পি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, নকলা উপজেলার উরফা ইউ-পি চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা, চন্দ্রকোনা ইউ-পি চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী, গৌড়দ্বার ইউ-পি চেয়ারম্যান মোঃ সওকত হোসেন খান মুকুল, নালিতাবাড়ি উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, নালিতাবাড়ী সদর ইউ-পি চেয়ারম্যান আসাদ্দুজামান আসাদ, যোগানিয়া ইউ-পি (ভারপ্রাপ্ত- চেয়ারম্যান)  আমির হোসেন, শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব শহিদুল ইসলাম এবং শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র আবু সাঈদ সকলেই বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার করা  উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তারা বলেন এখন যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন গ্রাম হবে শহর তা অচিরেই সফলতা অর্জন করবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে অন্যতম মডেল দেশ হিসেবে নাম করেছে। জনপ্রতিনিধিরা আরো বলেন শেরপুর জেলা গাড়ো পাহাড়ের সাথে তাই আমাদের শেরপুরে মাঝেমধ্যেই পাহাড়ি ঢল এসে রাস্তাঘাটে সহ এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাই আমাদের শেরপুরের মানুষ একটু বেশি অসহায় ।
জনপ্রতিনিধিরা আরো বলেন শেরপুর বাসীর প্রাণের   দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে। শেরপুর জেলা থেকে যোগাযোগের জন্য একটি রেললাইন ও রেল স্টেশন স্থাপন করে দেন ,  শেরপুর বাসীর সুচিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মান এবং একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল স্থাপন করেন ।  এই দাবীগুলো পূরণ হলে শেরপুর বাসীর চাওয়া পাওয়ার আর কিছু থাকে না।