নির্বাচনী ওয়াদা রাখলেন কায়েমপুর ইউ পি চেয়ারম্যান এস এম হাসেবুল হক হাসান

160
রনি মজুমদার,  স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার অবহেলিত একটি নিম্নাঞ্চল কাশীনাথপুর,  হরিনাথপুর,  ব্রজবালা,  চীনাধুকুরিয়া সহ প্রায় ২৯ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ।  স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও এখানে হয় নি কোন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স। cintv24 এর উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ টীম সরেজমিনে গেলে দেখা যায় এলাকার সাধারণ মানুষের কিছু স্বপ্ন পূরনের কথা।  ২০০৩ সাল থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যানরা কথা দিলেও হয়নি কাংখিত ভবন। ২০০৩ সালে জহুরুল হক রানা জমি বদল করলেও তিনি সেখানেই থেমে ছিলেন করেননি কাংখিত ভবন।  ক্ষমতার পালাবদলে ২০১১ সালে নির্বাচিত হন জিয়াউল আলম ঝুনু।  তিনিও জনগনকে ভবনের আশ্বাস দিলেও তা সেখানেই সীমাবদ্ধ।  পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক যুবলীগ সভাপতি,  বর্তমান ১ নং কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ  এর সভাপতি এস এম হাসিবুল হক হাসান।  তিনি তার প্রথম ওয়াদা দিয়েছিলেন এই পরিষদ কমপ্লেক্স এর ব্যবস্থা করা।  তারই বহু ওয়াদার বাস্তবায়নে এখন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এর কাজ নির্মানাধীন।  সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় ইতিমধ্যেই ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সমাপ্ত।  আশা করা যায় এ বছরের মধ্যেই এর কাজ সম্পন্ন হবে।  ইউনিয়নের কাশীনাথপুর বাজারের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনেই নির্মিত হচ্ছে এই ভবন।  তাছাড়া এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়,  প্রায় ৭ টি মসজিদ নিজস্ব টাকায় নির্মান করেছেন।  এলাকায় শিক্ষার জন্য করেছেন মাইলস্টোন স্কুল যেখানে প্রায় ২০০ এর অধিক ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে।  বয়স্ক ভাতা,  বিধবা ভাতা,  মাতৃত্বভাতা,  সহ সকল ধরনের ভাতা উন্মুক্ত ভাবে সকলের সামনে তিনি যাচাই বাছাই করেন।
cintv24 এর টিমের সাথে আলাপনে তিনি বলেন,  আসলে মানুষকে ভালবাসলে তারা আপনাকে ভালবাসবে।  আমি ১৯৯৮ সালে ডিগ্রি পাশের পর রাজনৈতিকভাবে আওয়ামীলীগকে ভালবেসে অনেক কষ্ট করেছি।  সবসময় ভাবতাম সাধারণ মানুষদের নিয়ে।  কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে যারাই আসত তারা এসেই ভূলে যেত যে তিনি জনগনের ভোটে চেয়ারম্যান।  আমি সেই অসহায় নিপীড়িত মানুষের সেবার জন্য শপথ নেই এবং ২০১৬ সালে আমার প্রানপ্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকার হাল আমার হাতে দিলে আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করি। আমার সেই আদর্শের নৌকা নিয়ে আমি চাই না সেই নৌকার অপমান করতে,  তাই আমি আমার শপথ বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।  তাই আশা করি আমি আমার এই বাকি সময়ে নৌকার অপমান হতে দিব না।  আওয়ামিলীগ কথা রাখে এবং আমরা তৃনমূলে সাধারণ মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।  এখন আমার আশা যেহেতু এই এলাকা নিম্নাঞ্চল এবং এখানে উঁচু রাস্তা নির্মান করা যাচ্ছে না তাই যদি সাবমারসিবল রাস্তা তৈরি করা যায় তাহলে আশা করি এলাকাবাসীর সব আশা পুরন হবে।  তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।