ফুলতলা বাজারে নির্ধারিত সময়ের পরেও বেচাকেনা চলছে : প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে নিয়ন্ত্রনে

142
মোঃ আল আমিন খান 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে ফুলতলা বাজার ঘুরে দেখা যায় অনেক ব্যবসায়ী সরকারের আইন অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বেচাকেনা। নেই মুখে মাস্ক হাতে নেই কোন হ্যান্ড গ্লোবস। নোভেল করোনা ভাইরাসে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে জনগন অনেকে আবার মার ও যাচ্ছে। সরকারের আইন না মানার কারন শুনতে চাইলে কিছু ব্যবসায়ী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দেয় কেউ বলে বন্ধ করবো এখনই আবার কেউ বলে বন্ধ করছিলাম তো কেবল। গত ১৫ মে করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) এর বিস্তার ও প্রতিরোধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জেলার সকল উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে দোকনপাট শপিংমল সমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সভাপতি,  জেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমন ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটি।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ওষুধের দোকান বাদে বিকাল ৪ টার পরে সবকিছু বন্ধ থাকবে। বিনা প্রয়োজনে জনগন ঘর থেকে বের হবে না সকলকেই সরকারের আইন নিয়ম মেনে চলতে হবে যদি কেউ না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানা প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
কথা হয় ফুলতলা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ জমাদ্দার তিনি বলেন, আমরা বনিক সমিতির প্রতিটা লোক রোদে পুড়ে কষ্ট করে সকল ব্যবসায়ীদেরকে বার বার সতর্ক করছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে তারপরেও কিছু কিছু ব্যবসায়ী গোপনে তাদের বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত জনগন সহ সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। লিফলেট বিতরণ সহ বাড়তি চেকপোস্টের ব্যবস্থা এমনকি মাইকিংও করানো হয়েছে, সকলকে বলা হয়েছে বিকাল ৪ টার পরে ওষুধের দোকান বাদে সবকিছু বন্ধ থাকবে। এই নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে যেটা করা উচিত আমাদের ফুলতলা থানা পুলিশ সেইটা করবে। এই মুহূর্তে উচিত সকলকে নিজে নিজে সচেতন হওয়া নিজের পরিবারের জন্য হলে স্বাস্থ্য বিধি সকলকে মেনে চলতে হবে। তিনি আরো বলেন ,আগামীকাল থেকে প্রশাসন আরো কড়া নজরদারিতে থাকবে বলে জানান।
এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা জানান, ফুলতলার আওতাভুক্ত অনেক জায়গাতে এমনটা হচ্ছে আমরা দেখছি ও শুনছি কিন্ত মানুষ কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই এমনটা করছে। এভাবে চলতে থাকলে যে কোন সময় বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়তে পারে ফুলতলা বাসী।