সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক ক্লিনিক চালুর দাবিতে তীব্র আন্দোলন : হাইকোর্টে রিট

1113

আবু হামজা বাঁধন, ডেক্স রিপোর্ট

সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক কোম্পানীর নিয়ন্ত্রনাধীন ১৫৮ টি ক্লিনিকে ইতিমধ্যে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কয়েক দফা সেই কর্তৃপক্ষের সাথে চাকরি হারা প্রায় ২ হাজার কর্মীদের নেতৃবৃন্দ কথা বলতে চাইলে তারা মুখে কুলুপ এটে বসে থাকেন। অ-ঘোষিত লক ডাউন বা রেড জোনের মধ্যে বন্ধ ক্লিনিকের কর্মীরা  ভার্চুয়াল মাধ্যমে আন্দোলনের বিস্তার ঘটিয়েছে। স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের গড়িমসির কারণে এতবড় বৃহৎ সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী আব্দুল মতিন।

গ্রাম বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে,“ যত কথায় বলা হোক, তাল গাছ আমার”। সেই প্রবাদের বাস্তব চিত্র দেখা যায় সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কে নীতি নির্ধারকদের কার্যকর্মের মধ্যে। একদফা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও লাইন ডাইরেক্টর) সেলিনা আক্তারের স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক (এস এইচ এন) কে তাদের বন্ধ ঘোষিত ১৫৮টি ক্লিনিক পুনরায় চালু করার জন্য অবহিত করেন। তবে কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলিয়ানে এস এইচ এন কর্তৃপক্ষ সেই চিঠির জবাব আদৌ দেয়নি, উল্টো সব কিছু কে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে দেশের এই জাতীয় দূর্যোগকালীন সময়ে তাদের ক্লিনিক বন্ধের সিদ্ধান্তেই পড়ে রয়েছে। যেন ধরাকে সড়া জ্ঞান করছে না।

অনুসন্ধানে জানাযায়, সরকারের অবসরকৃত এক বড় আমলাকে উচ্চপদে বসিয়ে সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় ফায়দা লুটছে। এদিকে ১৫৮ টি ক্লিনিকের আন্দোলনরত কমিটর সভাপতি মো.রবিউল ইসলাম  উচ্চ আদালতে সরকার বাহাদুরের বিরুদ্ধে রীট জারি করেছেন । এড. মোহাম্মদ আলী সেই রীট নিয়ে লড়বেন বলে জানাযায়। এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানায়, মন্ত্রাণালয়ের একটি মিটিং-এ সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের বন্ধকৃত ক্লিনিকগুলো চালু করার জন্য কর্তৃক্ষকে আদেশ প্রদানের জন্য চিঠি দিতে বলা হয়েছে।

সারাদেশে যখন করোনা বিপর্যয়ে । মৃত্যুর কুপ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনই সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক ১৫৮টি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়ে প্রায় ২ থেক ৩ কোটি নাগরিককে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করছে। কারন বন্ধ ক্লিনিক সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবায় ভূমিকা পালন করে আসছিল। তাই স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি কল্পে সরকারের একার এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বে-সরকারি ক্লিনিকগুলোর ভূমিকা রাখা জরুরী। তাই চিহ্নিত ওই ১৫৮টি ক্লিনিক এখনই চালু করে জনগনের দোড় গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন মহল।