প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক বললেনঃ খুলনা সিটি মেয়র 

45
মোঃ আল আমিন খান ব্যুরো চিফ খুলনা
সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে জানানো হয় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া মিলগুলোতে চলমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান এবং পাটখাতকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কর্মরত শ্রমিকদের গোল্ডেল হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শতভাগ পাওনা পরিশোধ করা হবে। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। প্রেস কনফারেন্সে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। শ্রমিকদের কথা চিন্তা করেই সরকার এ পর্যন্ত পাটকলগুলোতে ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে মিলগুলো আধুনিকায়ন করেই চালু করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে মিলগুলো বন্ধ হবে না, আবার শ্রমিকও বেকার হবে না। কারণ পরবর্তীতে এসব মিলে এ অঞ্চলের শ্রমিকদেরই কর্মসংস্থান হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, শ্রম আইন অনুযায়ী দুই মাস আগে অর্থাৎ ৩০ জুন সরকারের পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। ইতোমধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভায় এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের সকল বকেয়া পাওনা ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৪০ শতাংশ এবং বাকি ৬০ শতাংশ পাওনা টাকা পরবর্তী দুটি অর্থ বছরে ৩০ শতাংশ করে পরিশোধ করা হবে। এছাড়াও ২০১৪ সাল থেকে অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের পাওনা এককালীন পরিশোধ করা হবে।সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিটি শ্রমিক প্রায় সাড়ে ১২ লাখ থেকে ৫৪ লাখ টাকা পাবেন। মিলগুলো পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে চালু হলে এসব মিলে কর্মরত দক্ষ শ্রমিকরাই নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রেস কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসালম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ আলী, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।