ঝিনাইদহের গরু নিয়ে চিন্তিত খামারিরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন অনেকেই

29
মোঃ আল আমিন খান, ব্যুরো চিফ খুলনা
কোরবানি গরু নিয়ে চিন্তিত ঝিনাইদহের খামারিরা। করোনাকালে পশু হাট বন্ধ, খামারে বেপারি না আসা, আর বাইরের বাজারে গরু বিক্রি করতে না পারায় চরম লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় জেলায় ১২ হাজার ৬ শত ৫৬ টি খামার রয়েছে। এখানে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ছোট-বড় প্রায় ৬১ হাজার গরু। কিন্তু উৎপাদিত পশুর দাম কম হওয়া আর ক্রেতা না থাকায় কপালে চিন্তার ভাজ। বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে গড়া খামারিরা এখন পুঁজি তোলা নিয়েই শঙ্কিত। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের খামারি শাহ আলম জানান, গত ৪ বছর যাবত যুবরাজ নামের গরু লালন-পালন করছেন। তার খামারে থাকা অন্তত ৪০ মণ ওজনের ষাড়টির দাম হাকছেন ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু করোনা কারণে ক্রেতা না থাকায় গরু বিক্রি করা নিয়ে চিন্তিত তিনি। গত বছর গরুটির দাম ভালো না পেয়ে বিক্রি করতে পারেনি। ভেবেছিলাম এবার ভালো দাম পাবো। এখন দাম পাওয়া তো দূরের কথা বিক্রি হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। সদর উপজেলার নারিকেলবাড়ীয়া গ্রামের খামারি পারভেজ মাসুদ লিল্টন জানান, তার খামারে মাঝারি থেকে বড় জাতের ৪০টি গরু রয়েছে। একদিকে গো-খাদ্যের চড়া দাম আর অন্যদিকে করোনার কারণে গরুর কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় এবার লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে বলে আশঙ্কা কার। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট চালু  ও খামারিদের শহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী বলেন, এ জেলায় কোরবানির জন্য ছোট বড় অনেক গরু রয়েছে। স্বাস্থ্য সম্মত প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে খামারিরা গরু লালন পালন করছে। হাট চালু হলে খামারিরা ভালো দাম পাবে বলে তিনি আশা করেন। হাট চালুর বিষয়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ পশুর হাট বন্ধ রেখেছে। তবে আগামী ২৩ অথবা ২৫ জুলাই থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত একটানা গরুর হাট খোলা রাখা হবে। এছাড়াও অনলাইনে পশু কেনা-বেচার জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা এ ব্যাপার কাজ করছেন।