খুলনায় কোরবানির হাটগুলোতে ক্রেতা শূন্য বিপাকে আছেন ব্যাপারীরা

66
মোঃ আল আমিন খান, খুলনা ব্যুরো।
খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত খুলনার সবচেয়ে বড় পশুর হাট জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাট এখনো জমেনি। অথচ ঈদের বাকি আর মাত্র দুই দিন। আশপাশের জেলা থেকে ট্রলারে-ট্রাকে করে হাটে পর্যাপ্ত গরু এলেও নেই বিক্রি। হাটে ক্রেতার আনাগোনাও প্রতি বছরের তুলনায় কম। কম গরুর দামও।
খুলনায় কোরবানির হাটগুলোতে পশুর কমতি না থাকলেও ক্রেতার অভাব দেখা দিয়েছে। মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা বিগত বছরগুলোতে কোরবানি দিয়ে আসছেন, এবার তারা করোনার কারণে পশুর হাটের দিকেই যাচ্ছেন না। যারা আসছেন তারাও বিক্রেতার দামের অর্ধেকেরও কম দাম বলছেন। এতে ভীষণ চিন্তায় পড়েছেন ব্যাপারীরা। শেষ মুহূর্তে কাঙিক্ষত দামে গরু-ছাগল বিক্রি করতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে শঙ্কিত তারা। অবিক্রিত গরু ফিরিয়ে নিয়ে গেলে আবার এক বছর তার লালন-পালন করতে হবে-এটাই চিন্তার কারণ ব্যাপারীদের। হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লোকসান দিয়ে খামারিরা হাটে গরু বিক্রি করলেও ক্রেতারা আরও দাম কমার প্রত্যাশায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন। অনেকে আবার কম দামে গরু কিনতে ছুটছেন গ্রামের হাটে।
সরেজমিন মহানগরীর জোড়াগেট পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরুর দাম বলেও ক্রেতারা সেই গরু না নিয়ে আরও যাচাই-বাছাই করছেন। নড়াইলের কালিয়া থেকে গরু বিক্রি করতে এসেছেন রাহাদুর শেখ। তিনি বললেন, ‘তার তিন মণ ওজনের গরু ৬০ হাজার টাকার নিচে বিক্রি করলে লোকসান হবে। কিন্তু হাটে ৪৫-৫০ হাজারের ওপরে কেউ দাম বলছে না। জানা গেছে, করোনার কারণে কাজ-কর্ম বন্ধ থাকায় এবার গ্রাম এলাকায় গরুর দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা ছুটছেন গ্রামের হাটে। মহানগরীর টুটপাড়া ঘোষের ভিটা এলাকার বাসিন্দা আশিক ইকবাল বলেন, ‘প্রতিবছর নগরীর জোড়াগেট থেকে গরু কিনলেও এবার ডুমুরিয়ার খর্নিয়া হাটে গরু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে গত হাটে তিন মণ ওজনের গরু ৪৮-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গতবছর খুলনায় কিনতে হয়েছে ৬০-৭০ হাজার টাকায়। তিনি আরও বলেন, খর্নিয়া হাটে এবার ছয় মণ ওজনের বড় গরু বিক্রি হয়েছে ৯৬ হাজার টাকায়। এদিকে, করোনা ভাইরাস মহামারিতে অনলাইনে গরু কেনায় উৎসাহিত করা হলেও ক্রেতারা বলছেন, অনলাইনে গরুর দাম বেশি। এই দামে তাদের পোষাবে না। যে কারণে অনলাইনেও বিক্রি কম।