বয়রায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি হচ্ছে, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন

125
মোঃ আল আমিন খান,খুলনা (ব্যুরো চিফ)
খুলনা বয়রা রায়েরমহল রোডে বড় মসজিদে পাশে দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরা ঘোস ডেয়ারির মালিক সঞ্জীব কুমার ঘোস সম্পূর্ণভাবে নোংড়া ও স্যাতসেতে পরিবেশে তৈরী করছে বাহারি রকমের মিষ্টি। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোপনে অনুসন্ধানে গেলে দেখা যায়, দোকানের সামনে থেকে ফিটফাট থাকলেও ভীতরে সদরঘাট। ভীতরে চিত্রে দেখা যায় অপরিষ্কার নোংড়া মেঝে কাঁচা মাটি যেখানে সেখানে দই মিষ্টি তৈরি করে রাখা হয়েছে। কখন মাছি কখন আবার ময়লা পড়ছে সকল খাবারে। খাবার না ডেকেই তৈরী করছে বিভিন্ন মিষ্টি। মাটির একটি ঘরে তৈরি হয় এসকল মিষ্টি। কারখানার এমন পরিবেশ কেন প্রশ্ন করাতে সঞ্জীব কুমার ঘোস বলেন, খুলনা শহরে অনেক কারখানায় এমন অবস্থা দোকানের কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চায়লে বলেন বি, এস, টি, আই, পরিবেশ, অধিদপ্তর, স্যানেটারী ও দোকানের ট্রেড লাইসেন্স সহ কোন কাগজপএ ই নেয় তার দোকানের। এককথায় সম্পূর্ণ ভাবে কাগজপত্র বিহীন ভাবে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে তার দোকানের রমরমা বেচাকেনা। বে আইনি ভাবে দোকান চালানো আইনগতভাবে অপরাধ একথা বলাতে সঞ্জীব কুমার বলেন কিছুদিন আগেও আমাকে মাএ ৫০০ টাকা জরিমানা করছে। লাইসেন্স করতে টাকা লাগে তাই জরিমানা দিলে সব মিটে যায় তাহলে কাগজের কি দরকার।
এই বিষয় নিয়ে কথা হয় খুলনা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক শাহিনুর আলম শিকদারের সাথে,তিনি সবকিছু শুনে বলেন,এভাবে বেআইনি ভাবে কোন দোকান চলতে পারে না। ব্যবসা করতে হলে সকল নিয়ম মেনে অবশ্যই চলতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কিভাবে দোকান চলছে এই বিষয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সাতক্ষীরা ঘোস ডেয়ারির মালিক সঞ্জীব কুমার ঘোস বহুদিন ধরে পচা ও বাসি মিষ্টি সাধারণ জনগনের কাছে ব্রিক্রি করে আসছে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে। বিভিন্ন দপ্তর থেকে লাইসেন্স এর জন্য লোক আসলেও তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। এভাবে যদি জনগন ঔই দোকানের মিষ্টি খেতে থাকে তাহলে মানুষ যে কোন রোগেই আক্রান্ত হতে পারে। এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবী লাইসেন্স ছাড়া ও নোংড়া ভাবে মিষ্টি তৈরি করার জন্য সাতক্ষীরা ঘোস ডেয়ারিকে যেন আইনগত ও উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়। তাহলে অন্য সব খাবারের দোকানগুলি সর্তক থাকবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।