লালমোহনে অস্বাভাবিক জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশেষ বরাদ্দের দাবি

51

 ৫ ই আগস্ট বিকেল পাঁচটা থেকে টানা চার ঘন্টার অস্বাভাবিক জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেঘনা ও  তেতুঁলিয়ার পাড়ে অবস্থিত ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। জোয়ারের সময় জনপ্রতিনিধিরা পাশে থাকলেও এখনো এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছেনি কোন সরকারী ত্রান। উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ, ধলীগৌরনগর, ফরাজগঞ্জ, বদরপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে প্লাবিত হয়েছে জনপদ, ভেসে গিয়েছে মাছের ঘের, বসত বাড়ি এবং আগাম রবি শস্যের বীজতলা। জোয়ারের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেতুঁলিয়া এবং মেঘনা নদী সংলগ্ন বাধ এলাকা।

উপজেলা দূর্যোগ ও ত্রান অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অস্বাভাবিক জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়েছে ১৫ টন। তালিকা প্রস্তুত না হওয়ায় এখনো বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন আহমদ (বীর মুক্তিযোদ্ধা) সি আই এন টিভি ২৪ অনলাইনকে বলেন, অতি জোয়ারে পরিস্থিতি সামাল দিতে ভোলা ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নির্দেশ অনুযায়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবারের ব্যবস্থা করি। ক্ষতিগ্রস্ত বাধ যাতে ভেঙে না যায় তার জন্য সেই অংশে আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা নেই যাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান  কমানো যায়। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে রান্না করা খাবার ছাড়াও কিছু নগদ সহায়তা এবং কিছু খাদ্যশস্য নিজেদের অর্থায়নে বিতরণ করি। সরকার করোনাকালে আমাদের যথেষ্ট ত্রান দিয়েছে।  তবে করোনার মাঝে আম্ফান এবং এই অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। করোনায় কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি উপুর্যপরি এই দূর্যোগে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের লালমোহন বাসীর পক্ষ থেকে আকুল আবেদন আমাদের লালমোহনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়  ভেসে যাওয়া মৎস চাষীদের পুনরায় মাছের ঘের প্রস্তুতে সহায়তা, ভেসে যাওয়া বসতবাড়ির পুনর্বাসন, কৃষকদের রবি শস্যের বীজ এবং সার প্রদান সহ আপদকালীন ত্রান এর বিশেষ বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।