অন্যায় যখন নিয়ম হয়ে ওঠে

108

ডেক্স রিপোর্ট

কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্বার্থ হাসিলের উদ্যেশে ফুলতলা উপজেলার মশিয়ালী গ্রামে ৩টি কালভার্ট নির্মানের কাজ চলছে। অত্র উপজেলার প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র নন্দী কোন প্রকার ওয়ার্ড ছাড়াই কালভার্ট নির্মাণের জন্য বোরহান নামে এক ঠিকাদারকে মনোনীত করেছেন। কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের চিত্র ধরা পড়ে স্থানীয়দের কাছে। পরবর্তীতে প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র নন্দীর সাথে কথা বলা হলে তিনি ওয়ার্ক ওয়ার্ডার ছাড়াই কাজের বিষয়টি নিয়ে সত্যতা স্বীকার করেন। তবে কাজে অনিয়মের বিষয়টি মানতে নারাজ ঠিকাদার বোরহান। তিনি বলেন, শতভাগ নিয়মের মধ্যেই কাজ চলছে। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ওয়ার্ক ওয়ার্ডার এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই কিভাবে বোরহান নামে এ ঠিকাদার কাল ভার্ট নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মশিয়ালী গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি জানান, পুরাতন ও মরিচাপড়া রড দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ চলছে।

প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র নন্দী বলেন, “মেলা ঝামেলা হলে আমি অস্বীকার করব, যে এ কাজের বিষয়টি আমি কিছুই জানি না “। তবে তার এই বক্তব্য সংরক্ষিত রয়েছে এ প্রতিবেদকের কাছে।

অনেক সময় ওয়ার্ক ওয়ার্ডার ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েও দূর্ণীতির চিত্র মেলে সরকারি বিভিন্ন নির্মাণ কাজে। তবে যদি সেই ওয়ার্ক ওয়ার্ডার না থাকে তবে কাজের মান কেমন হবে তবে প্রশ্ন দেখা দেয় জনমনে। তবে অর্থ বরাদ্দ বা বাজেট আসলে গুজা মিল দিয়ে একটি কাজের খরচ দেখিয়ে দিবে ঠিকাদার বোরহান। তখনই  ওয়ার্কার দিবে বলে অকপটে প্রকৌশলী বিকাশ নন্দী বলেন। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও সরকারি আইনকে বৃদ্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে অনিয়ম কে নিয়ম বানিয়ে কাজের ইতিহাস গড়ছেন বিকাশ নন্দী। যদিও এমন নজির অতীতে কখনও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারি সহ বিকাশ নন্দী ও তার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে সচেতন মহল।