এক সময়কার দূর্দান্ত ফুটবল খেলোয়ার আছির শেখের মানবেতর জীবন

197
মোঃ আল আমিন খান, ব্যুরো চীফ (খুলনা)।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষুদা ও দারিদ্র মুক্ত ও দেশ গড়তে ব্যস্ত ঠিক তখনই অনুসন্ধানে সামনে আসে ফুলতলার গর্ব ও দেশের সম্পদ মোঃ আছির শেখ (২৮)। অনুসন্ধান করতে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, আছির শেখের জীবনে সংগ্রামের আত্নকাহিনী। কতই না কষ্ট করে চালিয়ে যাচ্ছে তার ফুটবল খেলার প্যাক্টিজ।এখানেই শেষ নয় কোভিড (১৯) চলাকালীন দেশের ক্রান্তীলগ্নে প্রধানমন্ত্রী হাজারো অনুদান আসলেও সকল প্রকার অনুদান থেকে বাদ পড়ে ফুটবল প্লেয়ার আছির শেখ। আছির শেখ জানান, পরিবারের বৃদ্ধ বাবা, মা, ও চার ভাই বোনের সংসার চালাতে গিয়ে দিনের অর্ধেক বেলা  আমাকে
দিনমজুরের কাজ করতে হয় কারন পেটের ক্ষুদা সবচেয়ে বড়। বাকি সময়টুকু ফুটবল খেলার প্যাক্টিজ করতে হয়। এভাবে চলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইউনিয়ন কিংবা সরকার থেকে কোন সহযোগিতা পায় নি হতভাগা আছির শেখ। এই মুহূর্তে সরকার থেকে যদি কোন আর্থিক সহযোগীতা কিংবা অনুদান না পায় তাহলেই হয়তো নিভে যাবে আছিরের এই ফুটবল খেলার প্রতিভা। বৃদ্ধা
পিতা তোরাফ শেখ( ৮৬) ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছে কিন্তু সময়ের ব্যবধানে অভাবের তারোনায় ভেঙ্গে যেতে বসেছে তার পিতার অশ্রু ভেজা স্বপ্নগুলো। অভাব যখন দরজায় কড়া নাড়ে স্বপ্ন তখন পালাতে থাকে, ঠিক তেমনি ঘটতে শুরু করেছে ফুলতলা ইউনিয়নের তাজপুরের বাসিন্দা আছির শেখের। মাঠ কাপানো ফুটবল প্লেয়ার আছির শেখ বর্তমানে চট্টগ্রাম পূর্ব মাদারীপুর তরুণ সংঘের একজন খেলোয়ার। এছাড়াও সে ঢাকা কদমতলা সংসদ, বাসাবো তরুণ সংঘ, বরিশাল বরগুনা আবাহনী ক্রীড়াচক্র, খুলনা উইনার্স ক্লাব,  খুলনা রূপক একাডেমি, ফুলতলা স্পোর্টিং ক্লাব সহ বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলেছে। খেলোয়াড়দের জন্য সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা  আসলেও কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পায়নি এই খেলোয়ার।
ফুলতলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন সাথে মুঠোফোন কথা হলে  তিনি  বলেন, এমন একজন স্মৃতিময় মানুষ আমার এলাকায় আছে কিন্তু আমি জানি না এটা অত্যান্ত দুঃখজনক একটা ঘটনা। আপনার মাধ্যমে আজ বিষয়টি জানতে পারলাম আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিবো। আমি আগামীকাল ই সরকারীভাবে কিছু না কিছু ব্যবস্থা করবো। আমাদের দেশের সম্পদ এভাবে অনাহারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে না। তার এই দূরদিনে সরকার অবশ্যই পাশে থাকবে।
কথা হয় ফুলতলা ইউনিয়নের ইউপি চেয়্যারমান শেখ আবুল বাশারের সাথে।  তিনি বলেন, সরকারের অনুদান সঠিক ভাবে বন্টন করা হয়েছে তার ভীতরে কোন গরিব মানুষ বাদ পড়লেও পড়তে পারে। যদি আছির শেখ আমার কাছে আসে তাহলে আমি সাধ্যমত সরকারী ভাবে সহযোগিতা করবো বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
ফুটবল খেলোয়ার আছিরের পরিবারকে যদি সহযোগিতা না করা হয় তাহলে হয়তো বাংলাদেশ একটি সম্পদ হারাবে। অনাহারে অভাবে তলিয়ে যাবে পুরো একটি পরিবার তাই এলাকার সচেতন মহল মনে করেন সরকার থেকে শুরু করে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে এই অসহায় পরিবারটির জন্য এটি এখন সময়ের দাবী নয় বরং জনগনের দাবী।