ডেক্স রিপোর্ট।।
কেএমপি’র খানজাহান আলী থানাধীন আটরা আফিলগেট এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে জখম করে কর্মচারি রাহাতকে তাঁর দোকানের মালিক রহিম শেখ। এ বিষয় পুলিশ রহিম ও তার সহযোগি মেহেরাব হোসাইনকে আটক করলেও ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর আটককৃতরা ছাড়া পাচ্ছে বলে জানাযায়।
জানাযায়, শনিবার আফিলগেট মেট্রো টেকনিক্যাল কলেজের একাডেমি ভবনের ভিতরে রহিম শেখ, পিতা-নওশের আলী শেখ, ও মেহেরাব হোসাইন , পিতা-ইউনুস আলী , সর্ব সাং-মাত্তম ডাঙ্গা, থানা-খানজাহান আলী, জেলা-খুলনাদ্বয় দোকানের কর্মচারি রাহাতকে বাসা থেকে ডেকে এনে বেধরক মারপিট করে। এক পর্যায় স্থানীয়রা বিষয়টি জানলে পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। সর্বশেষ রাহাতের শারিরীক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি বলে জানান রাহাতের মা। এ ঘটনার পরমহুর্তে খানজাহান আলী থানা পুলিশ রহিম ও মেহেরাবকে গতকাল শনিবার বিকালে আটক করে থানা হেফাজতে রাখেন।
তবে ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর রহিম ও মেহেরাব থানা থেকে ছাড়া পাচ্ছে বলে জানান স্বয়ং খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, কোন অভিযোগ আটকৃতদের বিরুদ্ধে না আসার কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
এখানে শেষ নয়, রহিমের ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বীগ্ন এলাকাবাসি। স্থানীরা জানান, প্রকাশ্যে দিবালকে মারপিট করে যদি রহিম গ্রেফতার হয়েও ছাড়া পায় তাহলে বাংলাদেশে আর আইনের শাসন থাকে না।
পুলিশের উচিত ছিল আইন শৃংখলা ভঙ্গ করার দায়ে বিশেষ আইনে রহিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া , যেহেতু বাদি পক্ষের কোন অভিযোগ নাই এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী শেখ ইউনুস আলী।