নতুনহাটে রউফের চায়ের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, গভীর রাত পর্যন্ত রমরমা আড্ডা

563

খুলনা ব্যুরো।।

খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই নোংরা পরিবেশের মধ্যে দিয়ে গড়ে উঠেছে রউফ নামে এক দোকানীর চায়ের ব্যবসা। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চায়ের  দোকান  খোলা থাকে। ফলে যুবক যুবতীদের আড্ডার  কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনিত হয়েছে দোকানটি। প্রতিদিনই শত শত বাইক, প্রাইভেট কার যোগে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ এ চায়ের দোকানে ভীর জমায়। তবে চায়ের বেশির ভাগ ক্রেতা হলো ১৬  থেকে ২৫ বছর বয়সীরা। স্বয়ং দোকানী আঃ রউফ মাস্ক ছাড়া থাকেন বেশিরভাগ সময়ে।

করোনার প্রভাব শীতকালীন সময়ে বৃদ্ধি পেতে পারে ফলে সকাল সন্ধ্যা জেলা প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্যবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নতুন হাটে রমরমা ভাবে চায়ের ব্যবসা চালিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি কিছুটা শিথীলতা দেখাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। ফুলতলা থানার ওসি মাহাতাব সিকদারকে বিষয়টি অবগত করা হলেও তেমন কোন পুলিশি তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। বরং রাত হলেই থানার টহলরত পুলিশ এ চায়ের দোকানে চা খেতে আসে। পুলিশের সামনেই মাস্ক ছাড়া আড্ডায় মাতোয়ারা থাকেন আগত ক্রেতারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  একটি ফুটান্ত চায়ের পাত্রে মাটির কাপ চুবিয়ে গরম করা হচ্ছে। আবার সেই পাত্রের চা ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে। এটি কোন ধরনের চা বানানোর কৌশল তা প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, চায়ের দোকানের সামনেই যশোর খুলনা মহাসড়ক। আর এই সড়কের পাশেই অর্থাৎ রউফের চায়ের দোকানের সামনেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৩০/৪০টি বাইক সারিবদ্ধ থাকে। ফুটপথ দখল সহ  রাস্তার গা ঘেষে বাইক থাকার কারণে যে কোন সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন সড়ক দূর্ঘটনা। এতকিছুর পরেও প্রশাসনের টণক নড়ছে কেন তা জানতে চেয়েছেন সচেতন মহল।

ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত মাস্কের জন্য অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। আর নতুন হাটের চায়ের দোকানের বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ জানান, আমরা সম্মেলিতভাবে  বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। নো মাস্ক , নো সার্ভিস সহ অধিক জনসমাগম এর কারণে  কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না।