খুবিতে দীর্ঘ ২০ বছর পর কর্মচারিদের স্থায়ী করলেন খুবি কর্তৃপক্ষ

44

স্টাফ রিপোর্টার

বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু চাকরি নিয়মিত হচ্ছে না। অবসরে গেলেও খালি হাতে যেতে হবে। এমন উদ্বেগ হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত দীর্ঘ ১০, ১৫, ২০ এবং ২৫ বছর ধরে ঝাড়–দার, নিরাপত্তা প্রহরী, মালী, অফিস সহায়কের মতো পদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বহুসংখ্যক মাস্টাররোল ও থোক ভিত্তিক কর্মচারী অবশেষে নিয়মিত হলেন। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১০তম সভায় তাদের এই নিয়োগ অনুমোদিত হয়। বিজ্ঞাপিত বিভিন্ন পদে মোট নিয়োগকৃতদের মধ্যে এ পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দীর্ঘদিন কর্মরত মোঃ নাসির উদ্দিন, গোলাম রসুল, আলী হোসেন, শরিফুল ইসলাম, শাহানাসহ ৪০জন নিয়মিত হলেন। তবে অন্যান্য কর্মচারি পদে ভিতরে কর্মরতদের বাইরে ২৫ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন। ভিতরের কর্মচারির অনেকেই যে যোগ্যতা চাওয়া হয় যথাযথভাবে সে শর্ত পূরণ করতে পারেননি বলেই কিছু বাদ পড়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। মাস্টাররোল বা থোক অর্থে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পর যারা চাকরিতে নিয়মিত হয়েছেন তারা যোগদান করে তাদের আনন্দ-অনুভ‚তি প্রকাশ করেন। ১৮বছর মাস্টারোলের সিকিউরিটি গোলাম রসুল, আলীহোসেন সহ অনেকেই বলেন এটা তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় চাওয়া ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে ইউজিসি থেকে পদ এনে নিয়োগ দিয়েছেন। পদ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আমরা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। একই সাথে শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি যে প্রচেষ্টা নিয়েছেন তার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। আজ এসব কর্মচারি যখন রেজিস্ট্রারের নিকট থেকে নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন তখন অনেকেই আনন্দ-আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। কারও কারও চোখ দিয়ে আনন্দাশ্রæ ঝরে পরে। তাদের জীবনে আজকের যোগদানের এই দিনটি হয়ে উঠে উৎসব মুখর। রেজিস্ট্রার তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন পর্যায়ক্রমে মাস্টাররোলের যারা বাকী আছেন তাদেরকেও নিয়মিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। একইসাথে তিনি বলেন কেবল ভিতরের প্রার্থীরা নয় যোগ্য ও দক্ষ অনেক বাইরের প্রার্থীও নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে বলেই ভিতর এবং বাইরের যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। এ ব্যাপারে ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, আমি চেষ্টাকরেছি তবে প্রধান মন্ত্রীর আন্তরিকতা ও নির্দেশনায় শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি সহায়তায় এদের চাকুরী স্থায়িত্ব করতে পেরে তিনিও প্রধান মন্ত্রী সহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।