খুলনায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

48

যথাযোগ্য মর্যাদায় খুলনায় মহান একুশে ফেব্রয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। প্রথম প্রহরে শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনারের বেদীতে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় পুষ্পমাল্য অপর্ণের ক্ষেত্রে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ জন প্রতিনিধি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একসাথে দুই জন শহিদ মিনারে গমন করেন। তবে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কারনে অনেকটাই হিমসিম খেতে হয় আইনশৃংখলা বাহিনীর । ২১ ফেব্রæয়ারি প্রথম প্রহরে (০০.০১টায়) শহিদ হাদিস পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনার মাধ্যমে শহিদ দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। পরে শ্রমপ্রতিমন্ত্রী , সিটি মেয়র , জেলা পরিষদের প্রশাসক, বিভাগী ও জেলা প্রশাসন, কেএমপি ও জেলা পুলিশ। মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দোগে ফুলদিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি, সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারন সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলার সভাপতি আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত অধিকারী, নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, টিভি রিপোর্টাস ইউনিটি সভাপতি সুনীল দাস, সাধারন সম্পাদক এইচ এম শামিমুজ্জামান, সহ-সভাপতি বাবুল আকতার, কোষাধ্যক্ষ এমডি অসীম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মুন্সি মাহাবুব আলম সোহাগ, নিয়ামুল ইসলাম কচি, নূর হাসান জনি , শরিফুল ইসালাম বনি, খুলনা সদর হাসপাতালের ডাঃ সারাফত, ডাঃ রাশেদ, খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রন ) ডাঃ শেখ সাদিয়া মনোয়ার ঊষা সহ স্থানীয় প্রশাসন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্প্যমাল্য অর্পন করে। এছাড়া সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সকল বেসরকারি ভবনে সঠিক নিয়মে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং সূর্যাস্তের সাথে সাথে পতাকা নামানো হয়। সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নগরভবন চত্ত¡রে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে বাদ জোহর বা সুবিধামত সময়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাদ জোহর খুলনা কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ সকল মসজিদে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপসনালয়ে অনুরূপ বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ২১ ফেব্রæয়ারি বিকেল চারটায় অমর শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বয়রাস্থ বিভাগীয় গণ-গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়