কেশবপুরের সংবাদ

41

কেশবপুর বুড়িহাটি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে
নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে

কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্থানীয় এমপি শাহীন চাকলাদারের নাম ভাঙ্গিয়ে বিদ্যালয়ে কতিপয় পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এলাকা বাসি সভাপতি বাতিল ও নিয়োগ বন্ধের দাবী জানিয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগ ও এলাকার বিশ্বস্থ সূত্রে, জানা গেছে গত ১৩ অক্টোবর-২১ কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সভাপতি হিসাবে প্রধান (অবঃ) শিক্ষাক মোসলেম উদ্দিনের নাম দিয়ে শিক্ষা বোর্ড যশোর পত্র জারী করেছিলেন। এর আগে ৯ অক্টোবর-২১ তারিখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক মোঃ শাহাজাহান আলীকে কোনো নোটিশ না দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর উক্ত আহবায়ক কমিটি গঠনের বৈধতা নিয়ে উচ্চতর আদালতে পক্ষে বিপক্ষে একাধিক মামলাও চলছে। তাছাড়া সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি ভাবে কোনো প্রক্রিয়া ছাড়াই নিয়মিত কমিটি গঠন ও অনুমোদনের বিরুদ্ধে ১১ ডিসেম্বর-২১ তারিখে জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষাক শাহাজাহান আলী। এরপরেও শিক্ষা বোর্ড অভিযোগ ও মামলাকে উপেক্ষা করে গত ৬ জানুয়ারী-২২ তারিখে বেআইনি কমিটি অনুমোদন করেন।
এরপর শুরু হয়ে যায় সভাপতির নিয়োগ বাণিজ্যের কায্যক্রম। কথিত নিয়মিত কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী, আয়া ও পিয়ন পদে কোনো বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করে ৬ টি পদে নিয়োগের কথা বলে মাননীয় এমপি মহোদয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ বানিয্যে মেতে উঠেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার সচেতন মহলের অনেকে বলেন অফিস সহকারী পদে বুড়িহাটি গ্রামের জাবেদ আলীর পুত্র মোস্তফা, মৃত নাজিম উদ্দীনের পুত্র ফিরোজ ও সদর উদ্দিনের পুত্র মাহফুজ ও পিয়ন পদে আকবর আলী মোড়লের পুত্র আব্দুল কালাম, আব্দুল গফফার মোড়লের পুত্র আজাহারুল ইসলাম এবং আয়া পদে রফিকুল ইসলামের পুত্র এনামুলের স্ত্রী, মৃত আনার আলীর পুত্র মিলনের স্ত্রী। তাদেরকে বিভিন্ন পদে নিয়োগের কথা বলে অগ্রীম টাকা গ্রহন করেন। এর মধ্যে আগেও একবার কারো কারোর নিকট হতে নিয়োগের কথা বলে মোসলেম উদ্দিন ও তার পুত্র মোঃ শহিদুজ্জামান শাহীন টাকা নিয়ে ছিলেন কিন্তু তাদেরকে নিয়োগ দিতে পারেননি। আবারও তাদেরকে নিয়োগ দিবে বলে ৫/৭ লাখ, ১০/১২ লাখ এমনকি ১৫ লাখ টাকার কথা বলে অগ্রিম টাকা গ্রহন করছেন। প্রতিটা পদে এমপির নামে ৫ লাখ ও ১০ লাখ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আরো জানাগেছে যাদের কে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে তারা সকলেই সভাপতি মোসলেম উদ্দিনের নিকট আত্মীয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এ ব্যাপারে মাননীয় এমপি মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারী আলমগীর সিদ্দিক টিটো বলেন, এমপি মহোদয়ের নামে অর্থ-বাণিজ্যের বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তারপ্রতি এমপি মহোদয় খুব ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। এলাকাবাসি অবৈধ বে-আইনি কমিটি বাতিল ও নিয়োগ বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মাষ্টার মোসলেম উদ্দিনের মোবাইল ফোনে জানান এলাকায় যতোটা শোনা যায় ততোটা সত্যনয়।

কেশবপুরে হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১০ বছরের ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ

কেশবপুর হিজলতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১০ বছরের ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এফাজতুল্লা সরদার ওরফে আলফাজ (৫০)।
রোববার দুপুরে হিজলতলা কওয়ামী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১০ বছরের ছাত্রী দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি যায়। প্রতিদিনের ন্যায় সে বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে রাতের খাবার সাথে নিয়ে গ্রামের মেঠো পথে মাদ্রাসায় ফিরছিল। এসময় হিজলতলা গ্রামের মৃত মোকাম আলী সরদারের পুত্র এফাজতুল্লা সরদার ওরফে আলফাজ তাকে কাছে ডেকে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেধে পার্শে বাগানের ভিতর নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে তার দাদা রজব আলী সরদার জানান মেয়েটি ঘটনার পরে কাউকে কিছু না বলে মাদ্রাসায় যেয়ে তার হুজুরকে বিষয়টি জানায়। মাদ্রাসার হুজুর মেয়েটি সোমবার সকালে তার বাড়িতে খেতে আসতে দেয়নি। সে সকালে খাবার খেতে না আসায় তার মাকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় গেলে এ সময়ে ছাত্রী তার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা খুলে বলে। এর পর হতে লম্পট এফাজতুল্লা সরদার ওরফে আলফাজকে খুজে পাওয়া যায়নি সে পালিয়ে গেছে। এফাজতুল্লা সরদার ওরফে আলফাজের পুত্র আবু কালাম দৈনিক স্পন্দন পত্রিকা প্রতিনিধিকে জানিয়েছে তার পিতা গতকাল রোববার রাতের পর আর বাড়িতে আসেনি। ছাত্রীর দাদা বলেন তার বিরুদ্ধে নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট অভিযোগ করা হবে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছিল।

কেশবপুর ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত

কেশবপুর ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে কেশবপুর উপজেলার ত্রিমেহিনী ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এস এম আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব প্রভাত কুমার সিংহর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আলফাজুর রহমান, শওকত আলী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের নব-নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মঞ্জুয়ারা বেগম, ফাতেমা বেগম, সাবান বেগম, নজরুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, মহির উদ্দিন, আজিজুর রহমান, আনোয়ার হোসেইন, আলমগীর সিদ্দিক, শহিদুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ মন্টু, ইলিয়াস সবুজ, উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান।
উক্ত পরিচিত ও প্রথম সভায় ইউনিয়ন পরিষদের দুই জন প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হারুন অর রশিদ মন্টু ও প্যানেল চেয়ারম্যান-২ সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মঞ্জুয়ারা বেগম।