ডুমুরিয়ার খরনিয়া বাজারে অনুমোদনহীন মুনিয়া নামক মুড়ির মিল

30

ডেক্স রিপোর্ট।

খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া বাজার পেট্রোল পাম্পের পূর্বপাশে খাদ্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান (বিএসটিআই) কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে ওঠেছে মুনিয়া নামে এক মুড়ির মিল। ইতোমধ্যে শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে শুরু করা হয়েছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। দেদারছে চলছে মুড়ি বাজারজাতকরণ। তবে, তা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, খর্নিয়া বাজারের পূর্ব দিকে পেট্রোল পাম্পের পূর্ব পাশে পাড়া সড়কের পাশে বছর ধরে মুনিয়া মুড়ির মিলটি গড়ে ওঠেছে। অপরিচ্ছন্ন মেঝেতে মুড়ির প্যাকে ব্যস্ত শ্রমিকরা। পুরুষ শ্রমিকদের নেই কারো গায়ে কাপড়। মহিলারাও কাজ করছে মিলে। মুড়ির প্যাকেটে নেই কোন ব্যাচ নম্বর, উৎপাদানের তারিখ। মিলের ভিতর মুড়ি যেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে, তার পাশেই ময়লার স্তূপ। বাতাসে ছড়াচ্ছে গন্ধ। এসময় পাশে একটি রুমে বসে অফিস করছেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান সরদার। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা? প্রতিবেদক এর পরিচয় পেয়ে জানান, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আপাতত আর কোন কাগজপত্র তাদের নেই। তবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র না থাকলেও মানসম্মত খাবার উপযোগী মুড়ি তৈরি করছে বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়াও মনিরুজ্জামান সাগর মেসার্স মা বাবা দোয়া ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানে ঢাকা চকবাজার থেকে খুব নিম্নমানের বিভিন্ন ধরনের চিপস, চানাচুর, চকলেট সহ বিভিন্ন কনজুমার প্রোডাক্ট ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সেই ক্ষেত্রে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স কিভাবে দিচ্ছেন জানতে চাইলে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। মিলটির মালিক ডুমুরিয়া উপজেলার মনিরুজ্জামান সরদার । বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুড়ি তৈরি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে আমার জানা নেই । যদি কাগজপত্র লাগে আগামীতে যোগাড় করে রাখব। এ প্রসঙ্গে খুলনা বিএসটিআই এর পরিচালক এর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি জানান মুড়ি বাজারজাতকরণ করতে হলে অবশ্যই বিএসটিআই এর অনুমোদন নিতে হবে অন্যথায় বাজারজাতকরণ করতে পারবেন না উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।