অভয়নগরে সেনাবাহীনির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

135
মেহেদী হাসান ইরান ( জেলা প্রতিনিধি যশোর)
অভয়নগর উপজেলার ৭নং শুভরাড়া ইউনিয়নের বাশুয়াড়ী গ্রামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর মেসওয়েটার (সিভিল) পদে চাকরি দেওয়ার নামে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে চুক্তির মাধ্যমে টাকানিলেও চাকরি না হওয়াতে টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো আদালতের দুটি মামলার আসামী হতে হয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার কে। এমনই অভিযোগ পেয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বেশকিছু হতবাক করবার মত তথ্য। অনুসন্ধানে জানাগেছে অভয়নগরের শুভরাড়া ইউনিয়নের বাশুয়াড়ী গ্রামের আরশাদ শেখের ছেলে সাকিব শেখ (১৯) সেনা বাহিনীর মেস ওয়েটার (সিভিল) পদে চাকরির জন্য মধ্যস্থতা কারী হিসাবে স্থানীয় একই গ্রমের জালাল মোল্যার ছেলে খুরশিদ আলম বাবুর সাথে নিয়োগপত্র প্রদান ও চাকরির স্থায়ীভাবে হলে বাবুকে ৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে শর্তে বাবু ২৬,০৬,২২ তারিখে অধিনায়কের পক্ষে মেজর জিয়াউর ইসলামের স্বাক্ষরিত ২০.০১.৯০১.০৪৫.০১.১২০.১২৮.৬৮৮.২২./সন/৫৮৮ নং স্মারকের এক নিয়োগ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার আসায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের এক মেসে ৩ সপ্তাহের ও অধিক সময় অপেক্ষা করে ও নিয়োগ না পেয়ে বাড়ীতে চলে আসে। সূত্র জানিয়েছেন চাকরি না হওয়ায় সাকিব বাড়ী ফিরে আসলে চুক্তিবদ্ধ হওয়া টাকা ফেরত দিবে মর্মে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে বাবু চুক্তি করে দেয়। এবিষয়ে সাকিবের বড় ভাই খালেক জানিয়েছে চাকরি না হওয়ায় ৭ লাখ টাকা ফেরত দেবার কথা চুক্তি করে দিলেও এখন আর টাকা ফেরত দিচ্ছে না উল্টো আদালতের আমাদের নামে মামলা করেছে। অনুসন্ধানে আরো জানাগেছে একই এলাকার ৩ গ্রামের ৩ জন মেম্বর টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে তারা মামলা করার জন্য লিখিত সুপারিস করেছেন। এবিষয়ে চাকরি প্রদান কারী মধ্যস্থতা কারী খুরশিদ আলম বাবু জানিয়েছেন সঠিক নিয়োম মেনে চাকরি দেয়া হয়েছে চুডান্ত নিয়োগের আগে সাকিব মেসের কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে আসায় চাকরি টা হারিয়েছে সে। টাকা নিয়ে চাকরির বিষয় জানতে চাইলে বাবু বলেন টাকাপয়সা কোন লেনদেন হয়নি টাকা নিয়ে সেনাবাহিনীতে কোন চাকরি হয়না।তিনি আরো বলেন চাকরি থেকে পালিয়ে এসে পরিবারে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলায় এলাকার মেম্বর মাহাবুর সরদার, সেলিম সরদার,খালেক শেখ সহ বেশকিছু লোকে তাকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গরুবাধা সিকলি দিয়ে বিদ্যুতের পিলারের সাথে বেধে রেখে ১০০ টাকার ৩ টি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেয় এবং আমাকে ছেড়ে দেয়। তিনি আরো বলেন স্টাম উদ্ধার ও তাকে নির্যাতন করায় খোরশেদ আলম বাবু পৃথক দুটি মামলা যশোরের অভয়নগর জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে করেছেন। মামলা নং সি আর ৬১৬/২২ ও সি আর ৬৮৫/২২।