দরকার হলি স্কুল বেঁচে দেব : প্রিন্সিপাল হালিম

259

আবু হামজা বাঁধন।।
সাম্প্রতিক খুলানা-ডুমুরিয়ার ধামালিয়াতে ফারাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চর্তুথ শ্রেনীর কর্মচারি নিয়োগে ডোনেশনের নামে ঘুষ কেলেংকারীর অভিযোগ আসে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিএম হালিম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পাশাপাশি এসকে বাকার কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একটি অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, বিদ্যালয়ে হালিম বিশ্বাসের মনোনীত লোক নিয়োগ হওয়ার পর তিনি স্কুল বিক্রি করে দেওয়ার কথা বলেন। ওই রেকর্ডটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠে। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে জানা যায়, স্কুলের নিয়োগ পরিক্ষায় ২০ লক্ষ টাকার বেশি ডোনেশন নেওয়া হয়। তবে এ ডোনেশনের টাকা প্রার্থীরা সরাসরি ফারাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এস কে বাকারের কাছে দিয়েছেন এমন তথ্য জানান ম্যানেজিং কমিটির সভপাতি হালিম বিশ্বাস। সর্বমহলে ফারহা মাধ্যমিক বিদল্যালয়ের প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ পরীক্ষার বিষয় জানা জানি হয়ে গেলে ডুমুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান পুরো প্রক্রিয়াটি স্থগিত করে রাখার ঘোষনা দেন। পরবর্তীতে পুনরায় ফারহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা হবে মর্মে জানান তিনি ।
এদিকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় যাদের ইতিমধ্যে ফারহা স্কুল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দিয়েছেন , তাদের ডোনেশনের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার চাপ আসলে। ফারহা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এসকে বাকার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হালিম ইউএনও’র ঘোষনা মানতে নারাজ হয় বলে সূত্র জানায়। এখানেই শেষ নয়। বাকার কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ফারহা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এসকে বাকার এত সব অভিযোগ পাওয়ার পরেও রহস্যজনক কারণে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হালিম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং হালিম গংদের সাথে বাকারের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে বলে জানান কেউ কেউ।
ফুলতলা এম এম কলেজের লেকচারার বিল্লাল জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হালিম বিশ্বাস ভাইজানের (এস কে বাকার) বিরুদ্ধে এত নোংড়া মন্তব্য করার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বোঝা যায় সব কিছুতেই ভাইজানের গ্রীন সিগন্যাল ছিল।
আয়া পদে পরীক্ষা দিয়েছেন আসমা বেগম। তিনি বলেন, আমার কাছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হালিম ১২ লাখ টাকা চেয়েছিল। আমি দিতে পারেনি বলে ,আমার চাকরি হয়নি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হালিম বিশ্বাসের কাছে বিষয়গুলো জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। তবে প্রতিষ্ঠাতা এস কে বাকার তার কলেজের লেকচারার শুভংকর মুজমদারে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকে বলেন, তিনি বিষয়গুলো নিয়ে কোন কথা বলতে এ মুহুর্তে চাচ্ছেন না।