স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসুক, জনগণ চায় না, আমরাও চাই না : প্রধানমন্ত্রী

456

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দিয়েছি এবং কার্যকর করেছি। তারা আবার ক্ষমতায় আসুক, বাংলাদেশের জনগণও চায় না, আমরাও চাই না। যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে, যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় আসুক, তারাও সেটা চাইবে না। এ সময় বাম গণতান্ত্রিক জোটের ৮ দলের ১৬ জন প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন। সংলাপে আওয়ামী লীগসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত আছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা চাই আমরা দেশের যে উন্নয়নটা করতে পেরেছি, গণতান্ত্রিক ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে উন্নয়নও অব্যাহত থাকবে।’ সংলাপের শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। সে অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনা, এটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। সবচেয়ে বড় কথা ছিল, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, ঠিক একই কায়দায় ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যে ক্ষমতায় আসে, সে-ই বসে যেতে চায়। খালেদা জিয়া ১২টি মামলা দিয়েছিলেন সরকারে এসে। আবার দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেও আরও ৫ থেকে ৬টি মামলা দেয় আমার বিরুদ্ধে। ১/১১-এর সরকার আমাকে নির্বাচন না করার প্রস্তাব দিয়েছিল। বিনিময়ে একটি মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় তারা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার)। কিন্তু আমি একটি কথা জোর দিয়ে বলেছি, নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে চাইবে, সে-ই ক্ষমতায় আসবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা যেখানে বাংলাদেশ রেখে এসেছিলাম, সেখান থেকে বাংলাদেশ আবার পিছিয়ে যায়। ২০০৮ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন বিশ্বমন্দা। এর মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে যাই। ২০১৩ সাল থেকেই নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগসহ নানা নাশকতা করা শুরু করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আপনারা যদি বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রটা দেখেন, তাহলে নিশ্চয়ই এটা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে আমরা উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।’

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার মতো কঠিন কাজটা এই সময়ের মধ্যে আমরা করতে পেরেছি। কারণ জনগণের সমর্থন ছিল বলেই যুদ্ধাপরাধের বিচার করার পাশাপাশি রায়ও কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। এ কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। যে কারণে আমাদের বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে। আমরা আজ বিশ্ব উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।  (সূত্র : প্রথম আলো )