শুনলেন এবং শুনালেন , তরুণদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী

402

তরুণদের কাছ থেকে তাদের স্বপ্নের কথা, স্বপ্নপূরণের কথা ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা শুনলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই সঙ্গে দেশের উন্নয়নে নিজের ভবিষ্যৎ ভাবনার কথাও তরুণদের জানান প্রধানমন্ত্রী। উত্তর দেন তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের।

তরুণদের সঙ্গে সরাসরি এই কথোপকথনের জন্যই শুক্রবার বিকালে আয়োজন করা হয়েছিল ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের।

এতে উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ছাত্রছাত্রী, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সারা দেশ থেকে মনোনীত হয়ে আসা ১৫০ জন তরুণ-তরুণী অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক তরুণ-তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় তরুণরা অথবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কোন কোন সমস্যার সমাধান করবে তারা- এমন অনেক বিষয়ে আলোচনা হয় এবারের লেটস টক-এ। বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘প্রথমবারের মতো’ প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন। তরুণদেরও বেশ কিছু প্রশ্ন করেন তিনি। সেই সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে প্রধানমন্ত্রী তার কৈশোর ও তারুণ্যের সময়ে ঘটে যাওয়া অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে।

এছাড়াও ব্যস্ততার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন, নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা নিয়েও তরুণদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে একটি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হওয়া প্রধানমন্ত্রীর কৈশোর এবং তারুণ্য কি অন্যদের চাইতে আলাদা ছিল? কি রকম দুরন্ত সময় পার করেছেন তিনি? এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও কৈশোর ও তারুণ্যে রাজনীতিতে যোগদান, স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে যোগ দান, মুক্তিযুদ্ধকালে তার অবরুদ্ধ জীবন, ১৯৭৫ সালের পরে দেশের বাহিরে তার কঠিন জীবনযাপন, ১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়া, রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের অনুপ্রেরণা, দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসা- এমন আরও অনেক বিষয়ে অজানা তথ্য তরুণদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তরুণরা যাতে দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারে এবং নিজেদের ভাবনা ও সমস্যাগুলোর কথা নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সিআরআই নিয়মিত আয়োজন করে আসছে লেটস টক। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার লেটস টক আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আয়োজন করা হল ‘লেটস টক’ উইথ শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানটি।

প্রথমে গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার কথা ছিল। পরে সেটি পিছিয়ে তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৩ নভেম্বর।

বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানটি।

প্রথমে বিটিভিসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল এটি সরাসরি সম্প্রচারের কথা থাকলেও পরে সে সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসেন আয়োজকরা।

এ বিষয়ে সিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস  বলেন,  অনুষ্ঠানটি লাইভ হচ্ছে না। পরবর্তীতে এই কনটেন্টগুলো আমরা সিআরআই’র পেজসহ অনলাইনে প্রচারের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করব।