বগুড়ার পল্লী নিবাসে পল্লীবন্ধুকে দাফন

172

অবশেষে  সিদ্ধান্ত হলো পল্লী  বন্ধু হুসাইন  মোহাম্মদ এরশাদকে বগুড়ার মাটিতেই দাফন  দেওয়া হবে। যার ফলশ্রুতিতে নিজের গড়া পল্লী নিবাসেই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিকাল পৌনে ছয়টার পর তাকে পল্লী নিবাসের লিচু বাগানে সমাহিত করা হয়। এর আগে সাবেক সেনা প্রধান হিসেবে এরশাদের প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয়। দুপুরের পর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে এরশাদের চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফনের কথা থাকলেও রংপুরের নেতাকর্মীদের চাপ ও দাবির মুখে শেষ মুুহুর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে জাতীয় পার্টি। রংপুরেই এরশাদকে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।

তার আগে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ নামাযে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের বাধা উপেক্ষা করেই লাশবাহী গাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে নিয়ে যাওয়া হয় পল্লী নিবাসে। এসময় ‘এরশাদের দাফন হবে, রংপুরে-রংপুরে’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

পাশাপাশি প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন নেতাকর্মীরা। এরশাদকে ঢাকায় দাফনের সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন রংপুরের নেতাকর্মীরা। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের বুঝাতে ব্যর্থ হন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

পল্লী নিবাসের সেখানেই লিচু বাগানে গতাকালই কবর খুড়ে রাখা হয়েছে। ওই কবরেই প্রিয়নেতাকে সমাহিত করা হয়। বেলা ২টা ২৮মিনিটে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে এরশাদের চতুর্থ জানাজা শেষ হয়। তার আগ থেকেই এরশাদের দাফন নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় নেতাকর্মী ও এরশাদের ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে।

তার আগে সকাল ১১ টায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে রংপুরে পৌঁছে এরশাদের লাশ। এরশাদের লাশ বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাসের হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করা হয়। এসময় বিপুল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তার লাশ নিয়ে যাওয়া রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। সেখানে সামাজিক, রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাকে শেষ দর্শন করেন। এসময় সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, রোববার সকাল পৌনে ৮টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মারা যান সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন।  সৌজন্যে : মানবজমিন